জয় শ্রী রাম শ্লোগান দেওয়ায় জামশেদপুর চার্চ স্কুল থেকে বহিস্কার করা হলো ১৭ ছাত্রকে !

লোকসভার সময় থেকে জয় শ্রী রাম শ্লোগান চর্চার বিষয় ছিল। পশ্চিমবঙ্গে জয় শ্রী রাম শ্লোগান নিয়ে অনেক হৈচৈ হয়েছিল। জয় শ্রী রাম শ্লোগান দেওয়ার জন্য অনেকে গ্রেফতার হয়েছিল। ব্রিটিশ আমলে বন্দে মাতরম বললে যেভাবে গ্রেফতার করা হতো, সেই একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে জয় শ্রী রাম বললে গ্রেফতার করা হতো। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও লোকসভা নির্বাচন এর সময় জয় শ্রী রাম শ্লোগান শুনে রেগে উঠতেন। অনেকজনকে মমতা ব্যানার্জী তাড়াও করেছিলেন। সম্প্রতি জয় শ্রী রামের শ্লোগান সম্পর্কিত আরও একটি মামলা ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর থেকে এসেছে। যেখানে একটি স্কুল জয় শ্রী রামের শ্লোগানের কারণে 17 ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে।

received 482206555697779

 

পুরো ঘটনাটি জামশেদপুরের একটা চার্চ স্কুলে ঘটিত হয়েছে। স্কুলটি সম্ভবত হিন্দু বিরোধী কট্টর খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রভাবে চলে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বাদশ শিক্ষার্থীর একটি দল মাঠে খেলতে গিয়ে মজা করে স্কুল ক্যাম্পাসে জয় শ্রী রামের শ্লোগান দেয়। যারপর এই খবর প্রিন্সিপালের কাছে পৌঁছে যায়। প্রিন্সিপাল এল পিটার্সন শিক্ষকদের অনুশাসন সমিতির বৈঠক ডাকেন। বৈঠকের পর জয় শ্রী রাম শ্লোগান দেওয়া ছাত্রদের ৫ দিনের জন্য বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। ১৭ জনকে বহিস্কার করা হয় যার মধ্যে কিছু মেয়েও রয়েছে।

দেশের বহু চার্চ স্কুলে ছাত্রদের এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় যাতে তারা ভারতের সংস্কৃতি, ধর্মকে ঘৃণা করে। অন্যদিকে পাশ্চাত্য সভ্যতাকে আপন করে নেয়। সেই অর্থে স্কুলে যে কেউ যীশুকে নিয়ে শ্লোগানবাজি করলেও ভারতের আরাধ্য দেবতা রামকে নিয়ে শ্লোগান দিতে পারে না। ইংরেজরা এদেশে শাসন করার সময় চেয়েছিল ভারতীয়দেরকে তাদের সংস্কৃতি থেকে দূরে করে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে ব্রেনওয়াশ করা। যাতে ভারত দেশকে পরে আবার গোলাম করা যায়। এর জন্য ব্রিটিশরা রাজা রামমোহন রায় এর মতো লোকজনকে নিযুক্ত করেছিল ইংরেজ শিক্ষার বিস্তারের জন্য। ইংরাজি পড়ানো স্কুলে চলতো ব্রেনওয়াশ এর কাজ।

 

received 513743306068913

ভারতীয় ছেলে মেয়েদের তাদের গৌরবশালী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে আধুনিকতার নামে মেকেলে শিক্ষাপ্রনালী দ্বারা শিক্ষিত করা শুরু হয়েছিল। এখনও ভারতে বহু স্কুলে ইংরাজি শিক্ষা দেওয়ার নামে ব্রেন ওয়াশ করা হয়। এখন পরিস্থিতি এমন যে জার্মানির মতো দেশ ভারতীয় শিক্ষাকে আপন করে নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং হাবে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে পুরো ভারতে মেকেলে দ্বারা পরিচালিত ভণ্ড শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে। জামশেদপুরের যে স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানের প্রিন্সিপাল বলেছেন ধর্ম নিরপেক্ষতার খাতিরে এটা করা হয়েছে। প্রিন্সিপালের উপর স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন যে প্রিন্সিপাল হিন্দুদের আস্থাকে নিয়ে খেলা করছেন। হিন্দু সংগঠনগুলি এ নিয়ে স্কুলের সামনে বিরোধ প্রদর্শনও করেন।

সম্পর্কিত খবর