“ন্যাকামো হচ্ছে! সব জানত সুতপার বাবা-মা”, জেরার মুখে বিস্ফোরক দাবি সুশান্তের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত সোমবার বহরমপুরের অন্যতম অভিজাত এলাকা গোরাবাজার সুইমিং পুলের গলিতে খুন হন উদ্ভিদবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা বিশ্বাস। অভিযোগ ওঠে যে, তার প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর অতর্কিত আক্রমণে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে মালদহের ইংরেজবাজারের ওই কলেজ ছাত্রীর। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনার মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে। তবে, এই কাণ্ডের তদন্তে নেমে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এমনকি, এবার সুতপার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের “গভীরতা”র কথা তদন্তকারীদের জানাল সুশান্ত চৌধুরী। পাশাপাশি, সুতপার বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলেও জানিয়েছে সে। এই প্রসঙ্গে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতপার সঙ্গে সুশান্তের “প্রেম”-এর সম্পর্ক তৈরি হয়। এমনকি, সুতপার বাড়িতে সুশান্ত প্রায়শই যেত বলেও তদন্তে সে জানিয়েছে।

পাশাপাশি, এই প্রেমের সম্পর্কের ব্যাপারে সুতপার বাবা-মাও জানতেন বলে দাবি করেছে সুশান্ত। এই প্রসঙ্গে সে জানায়, “সুতপার সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা ওর বাবা-মাও জানতেন। তবে, এখন হয়তো তাঁরা অন্য কথা বলতে পারেন। কিন্তু সকলেই আমাদের এই সম্পর্কের বিষয়টি জানতেন। ওদের বাড়িতে আমার নিয়মিত আসা যাওয়ার পাশাপাশি একটা সময়ে আমরা নিয়মিত ফোনেও কথা বলতাম।”

যদিও, ঠিক একই বক্তব্য জানিয়েছে, সুশান্তর ভাই শুভদীপও। সে জানায়, ফোনে কোনও মহিলার সঙ্গে রাতে কথা বলত সুশান্ত। যদিও সেই মহিলা সুতপা-ই ছিল কিনা সেটা স্পষ্টভাবে বলতে পারেনি সে।

এদিকে, সুতপাকে নৃশংসভাবে খুনের পর প্রাথমিক “জড়তা” কাটিয়ে এখন অনেকটাই “স্বাভাবিক” ভাবে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সুশান্ত। আর সেই আবহেই এবার একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উপস্থাপিত করছে সুশান্ত নিজেই। যদিও, সুতপার মা এবং বাবা সুশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত সুশান্ত।

SUTAPA CASE

যদিও, তাঁদের এই অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে সুশান্ত ক্ষোভের সুরে বলেন, “এখন ন্যাকামো হচ্ছে! ওনারা সবই জানতেন।’’ মূলত, এই ঘটনার পর একের পর এক অভিযোগ জানাচ্ছেন সুশান্ত ও সুতপার বাড়ির সদস্যেরা। এর আগেই সুশান্তের পরিবারের তরফে “বেইমানি” ও “প্রতারণা”-র অভিযোগ আনা হয় সুতপার পরিবারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘সুশান্তের সঙ্গে সুতপার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, অন্য এক নতুন সম্পর্কের জন্য আমাদের ছেলেকে মানসিক ভাবে খুন করে দিয়েছিল সুতপা।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর