বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছরের ডিসেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের প্রতি সবথেক বেশি আক্রমণাত্বক মনোভাব আপন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একাধিক ইস্যু নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেছেন তিনি। এরপর মমতার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে জয়লাভও করেছে শুভেন্দু। দিকেদিকে যখন বিজেপি নেতারা বেসুরো গাইছেন, তখনও জগদ্দল পাথরের মতো দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছেন বিরোধী দলনেতা।
তবে এরই মধ্যে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ফোন গেল শুভেন্দু অধিকারীর। জানা গিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেকক্ষণ ফোনে কথা হয় শুভেন্দু অধিকারীর। তবে এতে জল্পনার কিছুই নেই। আজ বিধানসভায় কমিটি গঠন নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিধানসভার মোট ৪১টি কমিটির মধ্যে তৃণমূল কটা কমিটি পাচ্ছে, আর বিজেপির হাতে কটা কমিটি আসবে সেটা নিয়েই এই দুই নেতার মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধানসভার ৪১টি কমিটির মধ্যে বিজেপিকে ৯-১১টি কমিটি ছাড়তে রাজি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে তা নিয়ে আপত্তি জাহির করা হয়েছে। শুভেন্দুবাবু পার্থবাবুর কাছে ১৫টি কমিটি ছাড়ার দাবি জানিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি মানতে নারাজ পার্থ। তবে এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এখনও বিষয়টি আলোচনাধীন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধানসভায় কমিটি না গঠন হওয়ায় বিধায়কদের ভাতা আটকে রয়েছে। আর সেই কারণেই বিজেপি তড়িঘড়ি কমিটিতে ঢুকতে চাইছে। আর এই কারণেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থচট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় হলেন পরিষদীয় মন্ত্রী। যদিও, তৃণমূল দাবি করেছে যে বিজেপি তাঁদের নাম না দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। আর এই নিয়েই দুই নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।