ঘুম উড়বে শত্রুদেশের! INS Vikrant-এর পর এবার নৌবাহিনী পেতে চলেছে আরও এক রণতরী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শত্রুদেশের ঘুম উড়িয়ে ভারত (India) নিজেকে শক্তিশালী করতে একের পর এক সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। পাশাপাশি, সেনাবাহিনীতে প্রতিনিয়ত আধুনিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধজাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সম্প্রতি, প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি যুদ্ধজাহাজ INS Vikrant সামিল হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীতে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার শত্রুদের উপযুক্ত জবাব দিতে গত রবিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর বহরে আরও একটি যুদ্ধজাহাজ যোগদান করল। মূলত, ভারতীয় নৌবাহিনীর P-17A প্রজেক্টের তারাগিরি যুদ্ধজাহাজের তৃতীয় স্টিলথ যুদ্ধজাহাজটি মুম্বাইতে চালু করা হল। ওই লঞ্চিং ইভেন্টটি মুম্বাইয়ের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে অনুষ্ঠিত হয়।

এই প্রসঙ্গে মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স জানিয়েছে, ৩,৫১০ টন ওজনের ওই যুদ্ধজাহাজটির মূল্য হল প্রায় ২৫,৭০০ কোটি টাকা। এই জাহাজটি একটি সমন্বিত নির্মাণ পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। অর্থাৎ জাহাজের যন্ত্রাংশগুলো বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করে এক জায়গায় একত্র করা হয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ডের এফওসি-ইন-সি-এর ভাইস অ্যাডমিরাল আজেন্দ্র বাহাদুর সিংয়ের স্ত্রী চারু সিং জাহাজটির নামকরণ করেছিলেন। ২০২০-র ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নির্মিত তারাগিরি যুদ্ধজাহাজের ডেলিভারি ২০২৫ সালের আগস্টের মধ্যেই হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, জাহাজটি P17 ফ্রিগেটসের (শিবালিক ক্লাস) একটি আপগ্রেড সংস্করণ। পাশাপাশি, এটি উন্নত স্টিলথ ফিচার্স, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সেন্সর এবং প্ল্যাটফর্ম ব্যবস্থাপনা সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত রয়েছে। মূলত, নতুন তারাগিরি হল পূর্বের লিয়েন্ডার শ্রেণির ASW ফ্রিগেটের তারাগিরির পুনর্গঠন। পূর্ববর্তী তারাগিরি জাহাজগুলি ১৯৮০ সালের ১৬ মে থেকে ২০১৩-র ২৭ জুন পর্যন্ত দীর্ঘ তিন দশক ধরে নিজেদের কাজ করে গিয়েছে।

জানিয়ে রাখি যে, প্রজেক্ট 17A-এর প্রথম জাহাজ নীলগিরি ২০১৯-এর ২৮ সেপ্টেম্বরে চালু হয়েছিল। এটি ২০২৪-এর প্রথম ৬ মাস যাবৎ “সি ট্রায়াল” সম্পন্ন করবে। অপরদিকে, প্রকল্পের আওতায় থাকা দ্বিতীয় জাহাজ উদয়গিরি চালু হয় চলতি বছরের ১৭ মে। এটির ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে “সি ট্রায়াল” শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তারাগিরির ডিজাইন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ইন-হাউস ব্যুরো অফ নেভাল ডিজাইন। ১৪৯ মিটার লম্বা এবং ১৭.৮ মিটার চওড়া জাহাজটি দু’টি গ্যাস টারবাইন এবং দু’টি প্রধান ডিজেল ইঞ্জিনের সমন্বয়ে চালিত হবে। এটির সর্বোচ্চ গতি হবে ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিমি প্রতি ঘণ্টা)। এই যুদ্ধজাহাজে ৩৫ জন অফিসারসহ মোট ১৫০ জনকে মোতায়েন করা যাবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর