বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাংলা সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে তোলপাড় বিভিন্ন মহল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকীর দিনই বাংলা সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার প্রাপক হিসাবে নাম ঘোষনা করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কবিতাবিতান কাব্যগ্রন্থের জন্য এই বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জোর ঠাট্টা তামাশা শুরু হয়েছে। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখিকা তসলিমা নাসরিনও (Taslima Nasrin)। তিনি লিখেছেন, ‘কী? মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা আকাদেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে? ওঁর হাম্বা হাম্বা কবিতাটি ওই বইয়ে আছে তো! ভালো যে আমি কলকাতায় থাকি না আর। যেটুকু শ্রদ্ধা ছিল কবি সাহিত্যিকদের জন্য, যেটুকু মুগ্ধতা ছিল মানুষের সততা আর সাহসের জন্য, যেটুকু পক্ষপাত ছিল ওই শহরটির জন্য, সেসব দিনে দিনে ফুরিয়েছে। চারদিকে চলছে চাটুকারিতা। টাকা, ক্ষমতা, নাম আর পুরস্কারের লোভ মানুষকে এত ক্ষুদ্র বানিয়ে ফেলেছে যে কারও মুখ আর দেখতে পাওয়া যায় না।’
কলকাতায় থাকতে না পারায় খুশিই তসলিমা। কারণ তাঁর মতে, খুনী ডাকাত চোররা নির্লজ্জ হলে মানায়। কিন্তু শিল্প সাহিত্য জগতের লোকেরা নির্লজ্জ হলে সেই সমাজ নিয়ে নূন্যতম আশাটুকুও আর থাকে না। কলকাতায় থাকলে তিনিও হতাশার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন লেখিকা।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র প্রচ্ছন্ন কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘এপাং ওপাং ঝপাং’ এবং ‘হাম্বা’ কবিতা দুটি পাঠ করে তিনি জানিয়েছেন, শ্রোতাদের ভাল লাগলে নিয়মিত কবিতা পড়ে শোনাবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল তসলিমা নাসরিনকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন তিনি কলকাতা, ঢাকা ও ময়মনসিংহে ঢোকা নিষিদ্ধ করায়। লেখিকা কটাক্ষ করেছিলেন, ‘ওই নারী শাসকদের কথায় আজকাল হাসিও পায় না। দিনে দিনে এইটুকু বুঝেছি, সততা বলতে ওঁদের মধ্যে কিছু নেই।’