বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবছর শুরু থেকেই রেকর্ড গরম পড়েছে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই। উত্তরবঙ্গে সূর্যের এই গনগনে তাপে মার খাচ্ছে একের পর এক চা বাগানের উৎপাদন (Tea Production)। বৃষ্টির অভাবে কার্যত ঝলসে যাচ্ছে চা বাগানের (Tea-Garden) চা পাতা।
এসবের মধ্যেই চা উৎপাদন নিয়ে চা বাগান পরিচালকদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সদর দপ্তরের তরফ থেকে শোনানো হল এক বিরাট আশঙ্কার কথা। চা উৎপাদন নিয়ে আগাম সতর্ক করে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে আগামী মাসে চা পাতার উৎপাদন নাকি ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
এই খবর শোনা মাত্রই ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে চা বলয়ে। তবে আচমকা ব্যাপক হারে চা উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে প্রতিকূল আবহাওয়া ছাড়াও চা-চাষিদের একাংশ দাবি করছেন চা পর্ষদের কীটনাশক সংক্রান্ত কড়া নির্দেশকে।
প্রসঙ্গত গত মাসেই চা বাগানে কীটনাশক ব্যবহার প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল চা পাতায় যে রাসায়নিক কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে না সেই মর্মে সার্টিফিকেট নিতে হবে চা-চাষিদের। আর চা পর্ষদের এই নির্দেশিকায় মহা সংকটে পড়েছেন বহু ক্ষুদ্র চাষী।
আরও পড়ুন: ‘কনফার্ম! এবার হাওড়া থেকে এই সময়ে চলবে ‘স্পেশাল’ সুপারফাস্ট, বড়সড় ঘোষণা রেলের’
‘টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ চা পর্ষদের এই কীটনাশক সংক্রান্ত নির্দেশকে স্বাগত জানালেও, চা-শিল্পের সাথে যুক্ত একাংশের প্রচন্ড গরম আর বৃষ্টির অভাবে চা গাছে রোগপোকার যে উৎপাত বেড়েছে তা কমাতে শক্তিশালী রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা গেলে চা-উৎপাদন বাড়ানো যেত।
তাই সমস্যার জেরে এখন মহা সংকটে পড়েছেন চা বাগানের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার চা শ্রমিক। তবে শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, আবহাওয়ার কারণে আসামেও চা উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। সূত্রের খবর, তাপপ্রবাহের কারণে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ২৩ শতাংশ এবং অসমে প্রায় ৪০ শতাংশ চায়ের উৎপাদন কমেছে। তবে উৎপাদন কমলেও রাজস্ব আয় না বাড়ায় আক্ষেপ বাড়ছে চা-বলয়ের।