মারণ করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কার করে ফেলেছেন দাবি থাইল্যান্ডের চিকিৎসকদের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সারা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখনো পর্যন্ত ৩৬০ জনের মত মারা গিয়েছেন। ভারত সহ সারা বিশ্বে জারি সতর্কতা। এরই মধ্যে আশার আলো দেখালেন থাইল্যান্ডের একদল চিকিৎসক। তাদের দাবি তারা এই মারণ ভাইরাসের টীকা আবিষ্কার করে ফেলেছেন। HIV-র এবং ফ্লু-র ওষুধ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে এই ওষুধ তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন  তারা।

সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতই হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। আর এর ফলে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া ও মৃত্যু ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে। ১০ বছর আগে সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে এক ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর সেটিও ছিল এক ধরনের করোনাভাইরাস।

images 14 1

ব্যাংককের রাজাভিথি হাসপাতালের ঐ চিকিত্‍সকেরা জানিয়েছেন, এই ওষুধ প্রয়োগের পরেই মাত্র একদিনের মধ্যে সেরে যায় অসুখ। ফ্লুর চিকিত্‍সায় ব্যবহার করা হয় ওসেলটামিভির নামে একটি ওষুধ ও এইচআইভি-র চিকিত্‍সায় ব্যবহৃত ওষুধের নাম লোপিনাভির এবং রিটোনাভির মিশ্রনে তৈরী হয়েছে এই ওষুধ।

যদিও করোনা ভাইরাস গঠিত রোগ এই ওষুধের প্রয়োগে একবারে সেরে যাচ্ছে এমন নয়। তবে ডাক্তারদের দাবি এই ওষুধ ত রোগীদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে। যা একটী বড় সাফল্য হিসাবে চিহ্নিত করাই যায়।

images 13 3

করোনা ভাইরাসের কোনও টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার এখনো হয়নি। নেই নিদির্ষ্ট কোনও চিকিৎসাও।  WHO জানিয়েছে নিয়মিত হাত ভালোভাবে পরিষ্কার রাখলে  ঠান্ডা বা ফ্লু আক্রান্ত মানুষ থেকে দূরে থাকলে এই ভাইরাসকে আটকানো সম্ভব। এছাড়াও নাক মুখ ঢাকার জন্য মুখোশ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। ভাইরাস বহনকারীদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে বলছেন বিজ্ঞানীরা।

সম্পর্কিত খবর