লকডাউনঃ বুড়ি মাকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে পাটনা থেকে নেপালের উদ্যেশে রওনা দিল ছেলে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের (Lockdown) মাঝেই পাটনা থেকে নেপালের (Nepal) উদ্দ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন এক যুবক। মাকে সাইকেলের (Cycle) পিছনে বসিয়ে নিয়ে বাড়ি লক্ষ্যে রয়েছেন তিনি। লকডাউনের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায়, সাইকেলে চেপেই মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন শের সিংহ।

corona 27

করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে লকডাউন জারী করে হয়েছে দেশের সর্বত্রই। এই সময়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এরই মধ্যে কাজের প্রয়োজনে পাটনায় গিয়ে আটকে পড়েন শের সিংহ এবং তাঁর ৭০ বছর বয়সী মা। নেপালের বাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তানদের কাছে তারা পৌঁছাতে পারেননি। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন সাইকেলে চেপেই তারা বাড়িতে ফিরবেন। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। ফলের ক্রেটে বসিয়ে বৃদ্ধা মা যশোদাকে বসিয়ে সাইকেলে করে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশ্যে।

মুখে ক্লান্তি নিয়ে সাইকেলের প্যাডেল করতে করতে ক্লান্ত হয়েও হাল ছাড়েননি তিনি। এইভাবে যেতে যেতে বারাণসীর প্রায় ২৫ কিলোমিটার আগে মিরজামুরাদের বাজারের পাশ দিয়ে যাবার সময়, ত্রাণ বিতরণকারীদের সামনে পড়েন তারা। ভয় না পেয়ে তিনি তাঁদেরকে জানান, তিনি একজন নেপালি যুবক শের সিংহ। এই লকডাউনের মধ্যে আটকে পরে তিনি বৃদ্ধা মাকে নিয়ে সাইকেলে চেপেই বাড়ি ফিরতে চান।

corona 21

বিহারের সাথে নেপাল সীমানা সিল করার কারণে তিনি বেনারস, প্রতাপগড়, গন্ডা, বহরাইচ হয়ে নেপাল যেতে চান।
শের সিংহ বলেছিলেন যে, কোনও উপায় না পাওয়ায় তিনি সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। লকডাউন হলেও, তাঁর গ্রামে যাওয়ার মায়ের ইচ্ছাটিকে প্রতিহত করতে পারেনি। শের সিংহ বলেছিলেন, ‘স্ত্রী এবং সন্তানরা নেপালে রয়েছেন। তাই কয়েকদিন তাদের সাথে থাকব, লকডাউন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আমি ফিরে আসব। লকডাউনে দোকান বন্ধ রয়েছে। চা খাইনি’। ত্রাণ বিতরণকারীরা তাঁদের খাবার এবং জল দিয়ে সাহায্য করে। এবং তাঁর এই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে, তাঁদের বাড়ি ফিরতে সহায়তা করেন।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর