রাস্তায় জ্যামের কারণে খাবার পৌঁছে দিতে দেরি! নিজেই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব সামলালেন ডেলিভারি বয়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সর্বত্রই যানজটের (Traffic Jam) ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে যানজট এতটাই দীর্ঘায়িত হয়ে যায় যে তার ফলে নির্ধারিত কাজও করতে পারেন না অনেকে। যত দিন এগোচ্ছে ততই যেন এই সমস্যা সর্বত্র এক বিরাট আকার ধারণ করছে। এদিকে, এই যানজটের ফলে আবার সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় ডেলিভারি বয়দের (Delivery Boy)। কারণ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্ডার পৌঁছে দিতে না পারলে ঝামেলায় পড়তে হয় তাঁদের।

এমতাবস্থায়, সম্প্রতি এক অবাক করা ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, যানজটের পাল্লায় পড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন সুইগির এক ডেলিভারি বয়। হ্যাঁ, শুনতে কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও ঠিক এই ঘটনাই এবার ঘটেছে। এমনকি, ইতিমধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হতেও শুরু করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, ওই ডেলিভারি বয় একাই সুনিপুণ ভাবে ট্রাফিক পুলিশের কাজ করে যাচ্ছেন এবং যানজট থেকে রাস্তাটিকে মুক্তও করে ফেলেছেন।

এদিকে, ইতিমধ্যেই লিংকডইনে এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন শ্রীজিত নায়ার নামে এক ব্যক্তি। এই প্রসঙ্গে নায়ার জানিয়েছেন, “আমি আধঘণ্টার বেশি যানজটে আটকে ছিলাম। হঠাৎ করেই যান চলাচল শুরু হয়। সামনে গিয়ে দেখি এক ডেলিভারি বয় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।” পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামনে এনেছেন তিনি।

তিনিই প্রকৃত হিরো: এমতাবস্থায়, এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, ভিডিওটিকে পছন্দও করছেন সকলে। অনেকেই ওই ডেলিভারি বয়কে “ডেলিভারি হিরো” হিসেবেও অভিহিত করেছেন। শুধু তাই নয়, এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে সুইগি লিখেছে, “সব নায়করা টুপি পরেন না, কেউ কেউ সুইগির জ্যাকেটও পরেন!”

“অন্যদেরও শিখতে হবে”: মূলত, অর্ডার পৌঁছতে যাতে দেরি না হয় সেইজন্যই ওই ডেলিভারি বয় এই কাজটি করেন। এমতাবস্থায়, নেটিজেনরা তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি, কিছু জন আবার জানিয়েছেন যে, “আমাদের সকলের ওনার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।” এমনকি, প্রয়োজনে যানজট সামলাতে আমরা সবাই ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করতে পারি বলেও কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন কিছু নেটাগরিক।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর