দিঘাতে ফের জালে ধরা পড়ল তেলিয়া ভোলা মাছ! ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করলেন মৎস্যজীবী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিঘাতে (Digha) ফের একবার জালে উঠল এক বিশালাকার তেলিয়া ভোলা (Telia Bhola) মাছ। শুধু তাই নয়, বহুমূল্যের ওই মাছের নাগাল পেয়ে রীতিমতো ভাগ্যও ঘুরে গেল এক মৎস্যজীবীর। মাছটি বিক্রি করে রাতারাতি লাখপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে দিঘা মোহনার বাজারে একটি বিশালাকার তেলিয়া ভোলা মাছ বিক্রি করেন কাঁথির ট্রলার মালিক বিবেক করণ। তাঁর ট্রলারেই ধরা পড়ে মাছটি। এমতাবস্থায়, সেই মাছটিকে বিক্রির জন্য তিনি নিয়ে আসেন দিঘা মোহনার কে পি এস আড়তে। নিলামের মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার বিপুল দামে বিক্রি হয় ওই তেলিয়া ভোলা মাছ।

জানা গিয়েছে, ওই মাছটির ওজন ছিল প্রায় ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম। পাশাপাশি, সেটির প্রতি কেজিতে দাম ওঠে ৭ হাজার ৫৫০ টাকা। কলকাতার এক ব্যবসায়ী ওই মাছটি কিনে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিবেকবাবু জানিয়েছেন, ‘‘ধরা পড়া মাছটি স্ত্রী হওয়ার কারণে এটির দাম কিছুটা কম উঠেছে। তবে, পুরুষ মাছ হলে এর দাম আরও অনেকটা বেশি হত।”

পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “এই মাছের পটকা দিয়ে জীবনদায়ী ওষুধের ক্যাপসুলের খোল তৈরি হয় বলে শুনেছি। তাই, যত বড় আকারের মাছ হয় তার পটকাও তত বড় হয়। এমতাবস্থায়, পটকা বড় হলে দামও ভালো পাওয়া যায়। বাজারে এই মাছের প্রচুর চাহিদা থাকে।”

1667635168 bhola

বিবেক বাবুর মতে, “তেলিয়া ভোলা মাছ সাধারণত গভীর সমুদ্রেই পাওয়া যায়। এই মাছগুলি অনেক সময়ে দলবদ্ধ ভাবে ঘোরাফেরা করে। তবে, অভিজ্ঞ শিকারি ছাড়া এই মাছ সহজে ধরা যায় না।’’ এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দিঘার মৎস্যজীবীদের কাছে অন্যান্য মাছের তুলনায় তেলিয়া ভোলার কদর সবসময় বেশি থাকে। কারণ, এগুলির একটি মাছই লাখপতি করে দিতে পারে মৎস্যজীবীদের। এমনকি, প্রায়শই তেলিয়া ভোলার সৌজন্যে মৎস্যজীবীদের বিপুল অর্থ লাভের ঘটনাও উঠে আসে খবরের শিরোনামে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর