প্লাস্টিক আবর্জনা দ্বারা রোড বানিয়ে বহু কোটি টাকা বাঁচাল ভারত সরকার, নির্মিত হবে আরো সড়ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মোদী সরকারের স্বচ্ছ ভারত (india) প্রচারকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক প্লাস্টিকের বর্জ্য ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছিল। সারা বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এমন প্লাস্টিক। ২০১৬ সালেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়াররা এই সমস্যার সমাধানে পথ দেখিয়েছিলেন বিশ্বকে।

পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এমন প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে এইভাবে এখনও অবধি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে এক লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

56

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি ২০১৬ সালে প্রথমবার রাস্তা নির্মাণে প্লাস্টিকের বর্জ্য ব্যবহারের কথা করেছিলেন। সেই সময় থেকে ১১ টি রাজ্যে রাস্তা তৈরিতে প্লাস্টিকের বর্জ্য ব্যবহার করা হয়েছে। গুরুগ্রাম মিউনিসিপাল কর্পোরেশন ২০১৮ সালে প্রথমবারের জন্য রস্তা নির্মাণে প্লাস্টিকের বর্জ্য ব্যবহার করেছিল।

এখন ছোট রাস্তা নির্মাণে তারা প্লাস্টিকের বর্জ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। অসমও চলতি বছর থেকে রাস্তার কাজে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার শুরু করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল হাইওয়ে তৈরির কাজে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এই পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়েছে দিল্লি-মিরাট হাইওয়ে-তেও। জানা গিয়েছে এই বছর  প্লাস্টিকের রাস্তা তৈরির পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে।

প্লাস্টিকের রাস্তাগুলিতে ৬ থেকে ৮ শতাংশ থাকে প্লাস্টিক বর্জ্য। আর ৯২ থেকে ৯৪ শতাংশ থাকে বিটুমিন। জানা গিয়েছে এই একলক্ষ কিলোমিটার রাস্তার প্রতি কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করতে লেগেছে নয় টন বিটুমিন এবং এক টন করে প্লাস্টিকের বর্জ্য। অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটার রাস্তার জন্য বেঁচেছে এক টন করে বিটুমিন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০,০০০ টাকা।

78 2

ভারত প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫,৯৪০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ ফের ব্যবহার করা যায়। বাকি অংশ হয় স্থলভাগে ফেলে দেওয়া হয়, নালায় জমা হয়, কিংবা মাইক্রো প্লাস্টিক হিসাবে মিশে যায় সাগরে বা পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণের কারণ হয়। এখনও ভারতে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এই অবস্থায় প্লাস্টিকের রাস্তা তৈরিকে প্লাস্টিকের বিপদ কমাতে একটা অত্যন্ত উপযোগী পথ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

সম্পর্কিত খবর