ধোপে টিকল না বামেদের বিরোধ, JNU তে প্রদর্শিত হল ‘The Kerala Story”! কড়া নিন্দা SFI-র

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘দ্যা কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) এবং ‘দ্যা মোদি কোয়েশ্চেন’ (The Modi Question) নিয়ে বিতর্ক এখন অতীত। বর্তমানে দ্বন্দ্বে চূড়ায় রয়েছে ‘দ্যা কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। আর এই বিতর্কের উত্তাপ এবার এসে পৌঁছাল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (Jawharlal Nehru University)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (Akhil Bharat Vidyarthi Parishad) বিতর্কিত এই চলচ্চিত্র দেখানোর পরিকল্পনা করেছে। যথারীতি এর বিরোধিতা করেছে জেএনইউ-র বামপন্থী ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (Student Federation of India)।

‘দ্যা কেরালা স্টোরি’ মুক্তি পাবে আগামী ৫মে। মুক্তির আগেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এই ছবি। জানা যাচ্ছে, গতকাল ২মে অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদ এই ছবি দেখানোর ব্যাবস্থা করে। বিকেল ৪টের সময় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই দেখানো হয় এই সিনেমা। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই। তাদের দাবি, ‘এই ছবি ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার উপর একটি কলঙ্ক। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করে দেবে এই ছবি। এসএফআই-এর পক্ষ থেকে আমরা এই ছবি দেখানোর তীব্র বিরোধিতা করছি।’ শুধু তাই নয়, এই পরিকল্পনার পিছনে আরএসএস রয়েছে বলেও দাবি এসএফআই-র।

jnu

 

ট্রেলার মুক্তি পেতেই বেড়েছে বিতর্ক। বারবার উঠেছে নিষিদ্ধ করার দাবি। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court)। কিন্তু, সেখানে স্বস্তি পেলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। দেশের শীর্ষ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ‘দ্য কেরল স্টোরিকে’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার কোনও প্রয়োজনই নেই। প্রসঙ্গত, ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ৫ মে।

কয়েকদিন আগেই সামনে এসেছে ছবিটির ট্রেলার। অভিযোগ, ছবির ট্রেলারে দেখানো হয়েছে কেরলের ৩২ হাজারের বেশি মহিলার ধর্মান্তর করা হয়েছে। তারপর তাঁদের সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএসআইএসের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে কেরলকে সন্ত্রাসীদের ‘সেফ হেভেন’ বলেও দেখানো হয়েছে ছবিতে। যা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য বলে দাবি কংগ্রেসের। আর এই কারণেই ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয় কংগ্রেসের তরফে।

ছবিটি নিষিদ্ধের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল, আইনজীবী নিজ়াম পাশা। নিজ়াম পাশার দাবি, ‘সিনেমাতে প্রচুর উষ্কানিমূলক সংলাপ রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রোপাগান্ডা।’ অবশ্য বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিভি নাগারত্নার বেঞ্চ জানায়, ‘এই ফিল্মটি সার্টিফিকেশন পেয়েছে এবং বোর্ড দ্বারা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এমন নয় যে একজন ব্যক্তি মঞ্চে উঠে কোনো লাগাম ছাড়াই যা খুশি বলতে শুরু করলেন। আপনি যদি সিনেমাটির রিলিজ আটকাতে চান তবে আপনার সার্টিফিকেশনকে উপযুক্ত ফোরামের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করা উচিত।’

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর