Bangla Hunt Desk: পিতা মাতা সন্তানের কাছে পরম আশ্রয়, ভরসার স্থল। পিতা মাতার বৃদ্ধ বয়সে সন্তান তাঁদের বাঁচার আশা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে, যা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল গোটা মহারাজগঞ্জ (Maharajganj) এলাকার বাসিন্দারা।
সাধারণত পিতা মাতার মৃত্যুর পর সন্তান তাঁদের মুখাগ্নি করে। কিন্তু এখানে ঘটল উল্টোটা। উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার কোঠিভার থানা এলাকার বড়হরা চরগা মতি টোলার বাসিন্দা রীতা, বুকে চরম দুঃখ বেদনা চেপে রেখে তাঁর মাত্র ১৭ বছর বয়সী ছেলের মুখাগ্নি করলেন।
সন্তানদের জন্মের পর স্বামী ছেড়ে চলে যায়
রীতা দেবী জানিয়েছেন, প্রায় দুই দশক পূর্বে তাঁর সাথে ঈশ্বর চৌহান নামে এক ব্যক্তির বিবাহ হয়েছিল। বিয়ের পর তাঁদের চার সন্তানের জন্ম হয়, দিলীপ, সংগীতা, সীমা এবং রিমা। কিন্তু সন্তানদের জন্মগ্রহনের কিছুদিন পর থেকেই রীতা দেবীর স্বামী ঈশ্বর চৌহান তাঁকে এবং বাচ্চাদের ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন।
ছেলের মুখাগ্নি করলেন মা
রীতা দেবী জানান, তাঁর বড় ছেলে ১৭ বছর বয়সী দিলীপ, একজন বিকলাঙ্গ শিশু ছিল। ধীরে ধীরে সেভাবেই তাঁকে মানুষ করছিলেন রীতা দেবী। কিন্তু বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দিলীপের শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হতে শুরু করলে, শনিবার রাতে হঠাৎ করে সে মারা যায়।
বড় ছেলের মৃত্যুতে শোকে পাথর মা নিজেই তাঁর ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। বাবা জীবিত থাকা সত্ত্বেও, মাই ছেলের মুখাগ্নি করেন। গ্রামবাসীদের সহায়তায় গ্রাম সংলগ্ন গন্ডাক খাল ঘাটে ছেলের মরদেহ নিয়ে আসেন মা। তারপর সকলের উপস্থিতিতেই ছেলের মুখাগ্নি করেন। এই দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে গোটা গ্রাম।