দুয়ারে মদ প্রকল্প নিয়ে নয়া উদ্যোগ, আরও সংস্থার সঙ্গে জুড়তে চায় রাজ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মদ বিক্রিতে সবসময়ই বেশ ভালো রকম “লক্ষ্মীলাভ” করেছে রাজ্য। এছাড়াও, করোনার মত ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বাড়িতে বাড়িতে সব রকমের মদ পৌঁছে দেওয়ার পরিষেবা শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন মদের দোকান থেকে আবগারি দফতরের পোর্টাল মারফত এই সরবরাহ করা হত।

তবে, সেই পরিষেবা এখনও বেশ কিছু জায়গায় চালু থাকলেও বর্তমানে তা পুরোপুরি সক্রিয় নয়। যদিও, এবার বিভিন্ন ই-রিটেল সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এই পরিষেবা বড় আকারে চালু করতে চাইছে সরকার। এই পরিষেবা চালু হলে এবার ঘরে বসেই মদ পৌঁছে যাওয়ার ব্যবস্থা আরও গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই চার সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা পাকা হয়ে গেলেও চুক্তির আগে আরও সংস্থা যাতে অনলাইন পরিষেবায় অংশ নেয় তা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, গত বছরের আগস্ট মাসে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আগ্রহী সংস্থাদের আবেদন করতে বলা হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে চারটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে গত জানুয়ারিতেই সিদ্ধান্ত নেয় আবগারি দফতর।

এই সংস্থাগুলির মধ্যে একটি কলকাতার। বাকি গুলি মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের সংস্থা। সেগুলি হল “নেচারস বাস্কেট”, “দুনজো ডিজিটাল”, “প্লটিনাস অ্যানালিটিকা” এবং “বাজিমাত ড্রিংকস”। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসেই এই চার সংস্থার সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হবে। “বেভকো” আগামী অর্থবর্ষের গোড়ার দিকে, অর্থাৎ এপ্রিল মাস নাগাদ বাড়ি বাড়ি মদ পৌঁছে দেওয়ার এই পরিষেবা শুরু করতে চাইছে।

যদিও, বর্তমানে ফের আবেদন গ্রহণ করা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মদের “ই-রিটেল” ব্যবস্থায় অংশ নিতে চাওয়া সংস্থারা আবেদন করতে পারে। এদিকে, হঠাৎ করে নতুন এই আবেদন জমা নেওয়া শুরু হওয়ার কারণ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি দফতরের কর্তারা।

তবে সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রাজ্যে সর্বত্র একই সঙ্গে মদের ই-রিটেল চালু করতে হলে যে পরিকাঠামো দরকার সেটা এই চারটি সংস্থার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। যে কারণেই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে আবেদন জমা নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা গেলে এই পরিষেবা অনেকটাই শক্তিশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

alcohol 2
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগের বিজ্ঞপ্তিতে যারা অনলাইনে সুরাপ্রেমীদের বরাত নিতে পারবেন এবং বিভিন্ন খুচরো দোকান থেকে মদ কিনে ক্রেতাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন শুধুমাত্র সেই সমস্ত সংস্থাকেই আবেদন করতে বলা হয়েছিল। তবে, সামগ্রিক ব্যবস্থায় একটাই শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বয়সের উপরের ক্রেতাদেরই মদ বিক্রি করা হবে।

সেই অনুযায়ী, অগ্রিম ২৫ হাজার টাকা দিয়ে অনেক আবেদন জমা পড়েছিল দফতরে। তার মধ্যে বাছাই করে চারটি সংস্থাকে মনোনীত করা হয়। এদিকে, সরকারি ভাবে এটিকে মদের “ই-রিটেল” বলা হলেও আবগারি দফতরের অনেকেই নতুন এই ব্যবস্থাকে “দুয়ারে মদ” প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর