এগুলিই হল ভারতের সবথেকে দামি আম! স্বাদে-গন্ধে মাতিয়ে দেবে আপনার মন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: “ফলের রাজা” বলতেই যে ফলটির কথা আমাদের মাথায় আসে সেটি হল আম (Mango)। তাই, স্বাভাবিকভাবেই এই ফলের ব্যাপার-স্যাপার যে রীতিমতো “রাজকীয়” হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে, গ্রীষ্মের মরশুমে আসা এই ফলটির জন্য সারা বছর ধরে অপেক্ষায় থাকেন ফলপ্রেমীরা। আর সেই কারণেই এখন সর্বত্র বাজার মাতিয়ে রেখেছে আম।

জানিয়ে রাখি যে, ভারত হল আমের সবথেকে বড় উৎপাদক দেশ। এখানে দেড় হাজারেরও বেশি প্রজাতির আম চাষ করা হয়। যদিও, সেগুলির মধ্যে মাত্র কিছুসংখ্যক আমের স্বাদ-গন্ধ এবং রূপ রীতিমতো আকৃষ্ট করে সবাইকে। এমনকি, সেগুলির দামও হয় অনেকটাই বেশি। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে ঠিক সেইরকমই ৬ টি আমের প্রসঙ্গে জানাবো যেগুলি একবার খেলে আপনি কখনোই ভুলতে পারবেন না।

১. আলফানসো আম: এই তালিকায় প্রথমেই যে আমটি আসবে সেটি হল আলফানসো। এই আমের সুগন্ধ এবং স্বাদ সারা বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। যার ফলে বিদেশে এই আমের চাহিদাও থাকে অত্যন্ত বেশি।

whatsapp image 2023 05 17 at 2.57.00 pm

২. ল্যাংড়া আম: এবারে আমরা যে আমের প্রসঙ্গটি তুলে ধরবো সেটিও অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেটিকে আমরা চিনি ল্যাংড়া আম হিসেবে। পাশাপাশি, এই আম “মালদা আম” নামেও পরিচিত। এই আম অত্যন্ত মিষ্টি, রসালো এবং শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।

৩. চৌসা আম: ১৫৩৯ সালে হুমায়ুনকে পরাজিত করার পর শের শাহ সুরি বিহারের বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় প্রজাতির আমটির নাম রাখেন চৌসা।

whatsapp image 2023 05 17 at 2.57.52 pm

৪. সাফেদা আম: এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে যে আমটি রয়েছে সেটি উৎপাদিত হয় অন্ধ্রপ্রদেশের মাটিতে। ওই আমের নাম হল সাফেদা আম। এই আমের মরশুম হল এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত।

৫. দশেরি আম: এরপর আমরা যে আমটির বিষয়ে জানাবো সেটি পাওয়া যায় উত্তরপ্রদেশে। যেটির নাম হল দশেরি আম। এটি লখনৌ এবং মালিহাবাদে বিপুল পরিমাণে পাওয়া যায়। পাশাপাশি এটি দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় আমের প্রজাতি হিসেবেও বিবেচিত হয়।

whatsapp image 2023 05 17 at 2.58.43 pm

৬. পাহেরি আম: গুজরাটে উৎপাদিত টক-মিষ্টি স্বাদের এই আম পাহেরি অথবা “পাইরি” নামেও পরিচিত। আমটি এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যেই বাজারে চলে আসে। এটি আচার কিংবা মোরব্বা তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর