থানায় ঢুকে মারছে, জীবন মরণ সমস্যা, জানিনা আর বাঁচব কিনা: কুণাল ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় গোটা ত্রিপুরা (tripura) জুড়েই। নির্বাচনের পূর্বেই সরগরম ত্রিপুরা। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। এরপরই ট্যুইটারে একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (kunal ghosh)। অভিযোগ করলেন, দিনের পর রাতেও থানায় ঢুকে তৃণমূল কর্মীদের মারধোর করছে বিজেপি।

রবিবার দুপুরে সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের পর চড়তে শুরু করে রাজনৈতিক পারদ। এরপর আবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, দিনে হামলার পর আবার রাতেও আগরতলাথানায় হামলা করছে বিজেপি শিবির। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেররুয়া শিবির।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ট্যুইটারে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পরপর করেন বেশ কয়েকটি পোস্ট। প্রথমে রাত ৭ টা বেজে ২৯ মিনিটে লেখেন, ‘আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় আবার ঢুকে এসে মারছে বিজেপি। জখম একাধিক। জীবন মরণ সমস্যা আমাদের’।

এরপর রাত ৭ টা বেজে ৩১ মিনিটে অপর ট্যুইটে লেখেন, ‘সকালের মতই রাতে আবার মারছে। সবার জীবন বিপন্ন। ভয়াবহ অবস্থা। থানায় ঢুকে মারছে’।

ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের উপর ক্ষোভ বর্ষণ করে রাত ৭ টা বেজে ৩৮ মিনিটে তিনি লেখেন, ‘আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় বিজেপির তাণ্ডব চলছে। বাইরের সাহায্য দরকার। পুলিশ, প্রশাসন দেখুন। সাংবাদিকও রক্তাক্ত। পুলিশ আতঙ্কিত’।

ত্রিপুরায় সায়নীর নিরাপত্তার অভাব বোধ করে তিনি রাত ৭ টা বেজে ৫৬ মিনিটের পোস্টে লেখেন, ‘সায়নীকে নিরাপত্তার অভাবে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা থেকে অন্য থানায় (নাম লিখছি না) নিয়ে গেল পুলিশ। পূর্ব থানায় জীবন মরণ সমস্যা। বিজেপি সশস্ত্র। ঘিরে। সভা করছে। বাজি ফাটাচ্ছে। বোমা, গুলির আওয়াজ ঢাকার চেষ্টা? জানি না আমরা বাঁচব কি না’।

এরপর রাত ৮ টা বেজে ৪৩ মিনিটে থানায় ঢুকে হামলা করা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘SDPO DSP এসেছেন। ফোর্স এল। SDPO নিজে ছিলেন। নিরাপত্তার কনভয় দিয়ে আগরতলা পূর্ব থানা থেকে আমাদের বার করা হল। এখন নিরাপদ অবস্থানে। কিন্তু থানায় ঢুকে হামলা, JUST ভাবা যায় না’।
Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর