বছরে নয়, দৈনিক ৩৬ লক্ষ! বিপুল বেতন পেয়ে নজির গড়লেন এই ভারতীয়! চেনেন এনাকে?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভালোভাবে পড়াশোনা করে বেশি বেতনের চাকরি (Job) পাওয়ার স্বপ্ন প্রত্যেকেরই থাকে। আর সেই কারণেই সকলে করে চলেন পরিশ্রম। পাশাপাশি, প্রায়শই আমরা দেখতে পাই যে কিছু জন আবার কোটি কোটি টাকার চাকরি পেয়ে যান। তবে বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যাঁর সম্পর্কে জেনে রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন সকলে। পাশাপাশি, তাঁর বেতনের পরিমাণ জানলেও চোখ কপালে উঠবে সবার।

মূলত, আজ আমরা যে ব্যক্তির বিষয়ে আপনাদের জানাবো তিনি হলেন সি বিজয়কুমার। তাঁর দৈনিক বেতনের পরিমাণই হল ৩৬ লক্ষ টাকা। হ্যাঁ, প্রথমে এই বিষয়টি জেনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। বর্তমানে বিজয়কুমার ভারতের আইটি ফার্মের সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে অন্যতম একজন।

শুধু তাই নয়, তিনি ১১.৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গ্লোবাল টেকনোলজি কোম্পানি এইচসিএল টেকের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সি বিজয়কুমার তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পাশাপাশি, উটির লাভডেলের দ্য লরেন্স স্কুল থেকে বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে তিনি তামিলনাড়ুর PSG কলেজ অফ টেকনোলজিতে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ অবধি পড়াশোনা করেন। বিজয়কুমার ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন।

যদিও, বর্তমানে তিনি আমেরিকার নিউ জার্সিতে থাকেন। উল্লেখ্য যে, বিজয়কুমারকে “বিজনেস টুডে” দ্বারা IT/ITES শিল্পের ক্ষেত্রে ২০২০ সালের সেরা হিসাবে মনোনীত করা হয়। এবারে আসি তাঁর বেতনের প্রসঙ্গে। ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, তিনি এলটিআই সহ ২০২২ সালে ১৬.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ১৩১.০৮ কোটি টাকা আয় করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ভারতের আইটি কোম্পানিগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন।

মূলত, এইচসিএলের প্রতিষ্ঠাতা শিব নাদার এই পদ থেকে পদত্যাগ করার পরেই বিজয়কুমারকে ২০২২-এর ২০ জুলাই, ওই পদে বসানো হয়। এদিকে, এইচসিএল-এর বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, বিজয়কুমার গত অর্থবর্ষে মূল বেতন হিসেবে ২ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সাথে তিনি মোট ৪.১৩ মিলিয়ন ডলার বেতন হিসেবে পেয়েছেন।

This Indian made a record by getting a huge salary

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সি বিজয়কুমার ১৯৯৪ সালে কোর টিমের একজন সদস্য হিসেবে এইচসিএলে যোগদান করেন। যেটি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং নেটওয়ার্ক ডিজাইন ও বাস্তবায়ন করেছিল। সিইও হওয়ার আগে বিজয়কুমার এইচসিএলের বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন এবং ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের বোর্ড সদস্য রয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর