বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এখনকার দিনে মুঠোফোনের নেশায় বুঁদ আট থেকে আশি সকলেই। এখন প্রায় সবার হাতে হাতেই ঘুরছে স্মার্ট ফোন। কারও হাতে আবার সংখ্যাটা একের বেশিও হয়ে থাকে। এর ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটছে। অফিসের কাজ হোক কিংবা পড়াশোনা যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়েই অনেকে ডুব দিচ্ছে স্মার্টফোনের এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায়।
পুলিশের জন্য বিরাট কড়াকড়ি রাজ্যে (State Government)
বাদ যাচ্ছেন না রাজ্যের (State Government) কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারেরাও। ডিউটি বাদ দিয়ে মোবাইল ফোনের নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছেন পুলিশ অফিসারদের একটা বড় অংশ। তাই ডিউটির সময় কেউ রিল বানাচ্ছেন, কেউ আবার নিয়ম না মেনে সেলফি তুলছেন। সোশ্যাল মিডিয়াও ভরে উঠেছে পুলিশ অফিসারদের এই সমস্ত কীর্তিকলাপের নানান ছবি থেকে ভিডিওতে।
তবে আর চলবে না এই সমস্ত অনিয়ম। সোমবার থেকেই এই রাজ্যে (State Government) চালু করা হয়েছে নতুন নিয়ম। তাই এবার থেকে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার আগে পদস্থ অফিসারদের কাছে ব্যক্তিগত মোবাইল জমা রেখে তবেই ডিউটি করতে হবে। তবে প্রশাসনিক কাজের প্রয়োজনে অফিসের মোবাইল ব্যবহার করা গেলেও বাকি সময় পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে মোবাইল।
রাজ্য (State Government) পুলিশের ডিজির নির্দেশিকা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে ওই রাজ্যের সমস্ত জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে। ডিজির নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভি আই পি সুরক্ষা কিংবা অপরাধী ধরার অভিযানে থাকা পুলিশের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: সেরার সেরা বাংলা! সবাইকে ছাপিয়ে জাতীয় স্তরে উজ্জ্বল বাংলার মুখ
এ প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, চাকরির শর্ত অনুযায়ী কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ অফিসারদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই বিধি বেশিরভাগ পুলিশ কর্মী মানছেন না। তাই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গোটা সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে তাদের এই সমস্ত ছবি-ভিডিওতে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিআইপির ডিউটিতে থাকা অনেক পুলিশ কর্মীও নিয়ম না মেনে এই ধরনের অপকর্ম করে চলেছেন।
ডিউটিতে থাকাকালীন কেউ ভিআইপিদের সাথে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন, কেউ আবার রীল বানাচ্ছেন। এই সমস্ত ভিআইপিদের মধ্যে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এ-তো গেল হরিয়ানার কথা। এখন প্রশ্ন হল, এমন নিয়ম কি আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও চালু হবে? এ প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের প্রশাসনিক বিভাগের একজন পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন এই সমস্যা সারা দেশের সমস্ত রাজ্যে রয়েছে। তবে ব্যবস্থা নিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে হরিয়ানা। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের সমস্ত রাজ্যকেই এই পথে হাঁটতে হতে পারে।