অভিনব পদ্ধতিতে শুরু করেছিলেন মৎস্য চাষ! এখন বছরে ৮ লক্ষ টাকা আয় করছেন এই মহিলা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, চাষাবাদ (Agriculture) এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের (Business) ক্ষেত্রেও প্রথাগত নিয়মের পাশাপাশি যুগোপযোগী বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছেন মানুষ। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজন মহিলার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি অভিনব ভাবে মাছ চাষের মাধ্যমে বিরল নজির তৈরি করেছেন।

এমনিতেই প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার মাধ্যমে মাছ চাষ এখন অপেক্ষাকৃত সহজ হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে চাষীরা তাঁদের আয়ও বাড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায়, উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার মহিলা মৎস্যচাষী মনোরমা সিং বায়োফ্লক (Bioflock) পদ্ধতির মাধ্যমে মাছ চাষ করে বছরে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাভ করছেন।

তিন বছর আগে মাছ চাষ শুরু করেন: মূলত, ভাটপার রানি তহসিলের পিপরাপট্টি গ্রামের বাসিন্দা মনোরমা সিং নামের ওই মহিলা মৎস্যচাষী কয়েক বছর আগে পর্যন্ত তাঁর ৫ একর জমি চাষ করে মাত্র ১.৫ থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করতেন। তবে, প্রায় ৩ বছর আগে, যখন তিনি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের বিষয়ে জানতে পারেন। তখন তিনি মৎস্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে তিনি এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য এবং প্রশিক্ষণ পান।

শুরু করেন মাছ চাষ: মনোরমা সিং তাঁর ২৫ ডেসিমেল জমিতে মাছ চাষ করেছেন। কৃত্রিম ট্যাংক থেকে বের হওয়া জল ব্যবহারের মাধ্যমে হচ্ছে কৃষিকাজও। যার ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাছে। তিনি পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া প্রজাতির মাছ চাষ করছেন। যেগুলি দ্রুত বড় হতে পারে।

সরকারি অনুদান: বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ক্ষেত্রে জমিতে এক মিটার গর্ত খনন করে একটি কৃত্রিম পুকুর (৩৫ মিটার লম্বা × ৩৫ মিটার চওড়া) তৈরি করা হয়। সেখানে ত্রিপল বিছিয়ে তাতে জল ভরে গ্রোয়িং ফিশ ছাড়া হয়। এজন্য ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি এর মাধ্যমে বছরে ১৬ টন মাছ উৎপাদিত হয়।

This woman is making great income by starting fish farming

চাষীরা বিপুলভাবে লাভবান হবেন: জানা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার ম্যাজিস্ট্রেট অখন্ড প্রতাপ সিং ইতিমধ্যেই এজন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল এটির সুবিধা উপকূলীয় শহর এবং নদীর তীরে অবস্থিত শহর ও গ্রামগুলিতে প্রসারিত করা। পাশাপাশি, ওই জেলায় এখনও ব্যাপক হারে মাছ আমদানি হয় বলে জানান তিনি। এমতাবস্থায়, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে সেখানকার চাষীরা বিপুলভাবে লাভবান হবেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর