শিক্ষা-খাদ্যের পর এবার আবাস দুর্নীতিতে নাম তৃণমূলের! BJP-তে যোগ দেওয়ার ‘হুঁশিয়ারি’ কাউন্সিলরের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের শিরোনামে তৃণমূলের (TMC) অর্ন্তদ্বন্দ্ব। এবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ‘হুমকি’ দিলেন দলেরই এক কাউন্সিলর। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার সংশ্লিষ্ট তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) অভিযোগ, শহরের আবাস যোজনার অধীন বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়া গেলেও, বাকি টাকা দিতে বৈষম্য করা হচ্ছে। পুরপ্রধান এই বৈষম্য করছেন বলে দাবি করেন তিনি। পাল্টা সুর চড়িয়েছেন ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যানও (Municipality Chaiman)।

সম্প্রতি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারভেজ আলম অভিযোগ করেন, বাকি সকল ওয়ার্ডের আবাস যোজনার টাকা দিয়ে দেওয়া হলেও, ‘প্রতিহিংসা’র কারণে তাঁর ওয়ার্ডের কয়েকজন উপভোক্তার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় বাড়ির কাজ কিছুটা হওয়ার পর আটকে রয়েছে। টাকা না আসার কারণে কাজ সম্পূর্ণ করতে পারছেন না উপভোক্তারা, দাবি তাঁর।

পারভেজ আলমের অভিযোগ, বিগত দেড় বছর ধরে আবাস যোজনার টাকা মিলছে না। টাকা পেতে গেলে বেশ কয়েকজন আধিকারিকের স্বাক্ষরের দরকার হয়। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ আধিকারিক সই করে দিলেও শুধুমাত্র পুরপ্রধান সই করেননি। যে কারণে টাকা পাচ্ছেন না উপভোক্তারা।

আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি কাণ্ডে CBI-র নজরে এবার ‘রাঘব বোয়াল’! দুই দলে ভাগ হয়ে শুরু ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ

পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পারভেজ আলম বলেন, ‘প্রতিহিংসার এই রাজনীতি বন্ধ না হলে বিজেপিতে যোগ দেব’। এখানেই না থেমে, ভোট ময়দানে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন তিনি। পারভেজ আলমের সকল অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান ইনজামুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগও এনেছেন তিনি।

mamata banerjee tmc

ধুলিয়ান পুরসভার পুরপ্রধানের কথায়, পুর এলাকার সকল উপভোক্তা আবাস যোজনার টাকা পেয়ে গিয়েছেন। বাকি আরও ১৫ জনের অ্যাকাউন্টে সোমবারের মধ্যে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপরেই পারভেজ আলমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন পুরপ্রধান। তাঁর দাবি, যে উপভোক্তাদের আদতে টাকা পাওয়ার কথা, তাঁদের নাম না দিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ইনজামুল ইসলামের অভিযোগ, ‘তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। সেটা বানচাল করে আমরা ন্যায্য প্রাপকদের দিয়েছি। সেই কারণেই ওই কাউন্সিলরের গাত্রদাহ হচ্ছে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর