বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুর্যোগের কারণে নিজের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই রাগে পড়ে গোটা এলাকার আলো নিভিয়ে দিলেন খোদ তৃণমূলের (tmc) পঞ্চায়েত সদস্যা। এখানেই শেষ নয়, বৃষ্টির কারণ কেন শুধু তাঁর বাড়িতেই কারেন্ট থাকবে না, এমনটা ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রান্সফর্মারে তালা ঝুলিয়ে দেন কাজল মণ্ডল।
এমনই ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার নতুনগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায়। নিম্নচাপের টানা বৃষ্টির জেরে সোমবার ওই এলাকার তৃণমূল সদস্যা কাজল মণ্ডলের বাড়িতে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু তাঁর বাড়িতে কারেন্ট না থাকলেও, গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।
‘আমার বাড়িতে যখন বিদ্যুৎ নেই, তখন এই এলাকাতেও বিদ্যুৎ থাকবে না’- এমনটা অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে গোটা এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ট্রান্সফর্মারে তালা ঝুলিয়ে দেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা কাজল মণ্ডল। এই গোটা ঘটনায় ক্ষেপে ওঠেন এলাকাবাসী।
শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল সদস্যার এমন আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যার কারণে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছে শাসক দল। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেব দাবি করেছেন, ‘এই ঘটনা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সমান। পুলিশের মদতেই গ্রামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং লুঠপাটের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল তৃণমূল। এলাকার মানুষ এই ঘটনার বিরোধীরা করায়, তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি’।
এই বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ জেলা সভাপতি শংকর দত্ত জানিয়েছেন, ‘যদি কেউ আইন বিরুদ্ধ কাজ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃষ্টির সময় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে শুধুমাত্র কাজল মণ্ডলের বাড়িতে সোমবার কারেন্ট ছিল না। তারপর সারাদিন কারেন্ট না আসায়, উনি এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ট্রান্সফর্মারে তালা ঝুলিয়ে দেন। রাত ১১ টা নাগাদ পুলিশ এসে ট্রান্সফর্মারের তালা খুলতে পারলেও, বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে পারেনি।