‘কে জানে এই চা কোথায় নিয়ে যাবে..’ রাস্তার ধারে চা বানাতে গিয়ে কাকে ঠুকলেন মহুয়া মৈত্র?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিঁনি তৃণমূলের সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মিত্র (Mahua Moitra)। নাম খ্যাতি কম নেই তাঁর। তবে এদিন রাস্তা দিয়ে যেতে যেতেই হঠাৎ পথের ধারে একটি চায়ের দোকান দেখে থমকে গেলেন নেত্রী। চা খেতে নয়, বরং নিজে চা বানালেন মহুয়া মিত্র। এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন দৃশ্য বহুবার চাক্ষুস করেছে রাজ্যবাসী। ব্যতিক্রম শুধু এখানেই যে তখন মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই ভূমিকায় দেখা গেল শাসকদলেরই সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে।

এদিন নিজের লোকসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) একটি চায়ের দোকানে ঢুকে চা বানালেন তিঁনি। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেই কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন নেত্রী।এরপরই শীতের ঠান্ডা রাতে রাস্তায় ধারের দোকানে দাঁড়িয়ে জমিয়ে চা বানালেন তৃণমূল সাংসদ। নিজের টুইটারে (Tweeter) সেই ভিডিও (Video) শেয়ার করা মাত্রই হুহু করে ভাইরাল। তবে বিতর্ক বাঁধল সেই ভিডিওর ক্যাপশন ঘিরে।

নিজের ভিডিওর ক্যাপশনে এমন কী লিখলেন তৃণমূল নেত্রী? ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল সাংসদ চায়ের সসপ্যানে চিনি ঢালছেন। সাংসদের সেই চা বানানো দেখতে তাঁকে গোল করে ঘিরে দাঁড়িয়েছিলেন কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে আম জনতা। আর সেই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে মহুয়া মৈত্র তার ক্যাপশনে লিখেছেন, “চা বানানোর চেষ্টা করলাম… কে জানে এটা আমায় কোথায় নিয়ে যাবে।”

নেত্রীর এই ক্যাপশনকে কেন্দ্র করেই তৈরী হয়েছে জোর বিতর্ক। নেটাগরিকদের একাংশের মতে, এই ক্যাপশনে তিঁনি নাম না করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই কটাক্ষ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছোটবেলায় চা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। তাছাড়াও অনেকসময় তিঁনি নিজেই নিজেকে ‘চায়ওয়ালা’ বলেও উল্লেখ করে থাকেন। এই নিয়েই নেটাগরিকদের দাবি ক্যাপশনে মোদীকেই আক্রমণ করেছেন তিঁনি।

মহুয়ার এই পোস্টের নীচেই এক নেটিজেন তাঁকে বিদ্রুপ করে কমেন্ট করেন , “তবে কি, উনি ভারতের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দিকে এগোচ্ছেন?” অন্যদিকে মহুয়ার টুইটের রিপ্লাইয়ে এক ব্যক্তি আবার লেখেন, “আমাদের দেশের জন্য একজন চা-ওয়ালাই যথেষ্ট। জানিনা আমাদের দেশ চা-ওয়ালিকে জায়গা দিতে পারবে কি না।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর