থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেব! ভোটের মাঝেই তৃণমূল নেতা, কর্মীদের হুঁশিয়ারি মমতার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে জেলায় জেলায় ঘুরে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার তিনি হাজির হয়েছিলেন আরামবাগে (Arambagh)। অপরূপা পোদ্দারকে ছেড়ে এবার এই আসনে মিতালি বাগকে দাঁড় করিয়েছে জোড়াফুল শিবির। আজ মিতালির সমর্থনে আয়োজিত সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে নিশানা করার পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা, কর্মীদেরও হুঁশিয়ারি দিলেন দলনেত্রী!

আজকের সভায় দাঁড়িয়ে সিপিএম-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘সিপিএমের হার্মাদেরাই বর্তমানে বিজেপি হার্মাদ হয়ে গিয়েছে। ওঁদের আমার থেকে ভালো আর কেউ চেনে না। গড়বেতা থেকে আরামবাগ অবধি সিপিএম মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছিল। মানুষকে খুন করে সেখানে ফেলে দিত। তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না’।

এরপর নিজের দলের নেতা, কর্মীদের সম্বন্ধে তৃণমূল (TMC) নেত্রী বলেন, আমাদের কেউ যদি বদমায়েশি করে, তাহলে আমি তাঁকে থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দিতে পারি। কিন্তু বিজেপি সেটা করবে না। সিপিএমের হার্মাদ এখন বিজেপিতে এসে গিয়েছে। টাকা দিয়ে ভোট কিনছে।

আরও পড়ুনঃ ‘ঈশ্বরের রূপ’! দেব হিরণ নয়, ভোটের আগে ঘাটালে জিতলেন গোপাল! এই ব্যক্তির আসল পরিচয় চমকে দেবে

বিজেপিকে আক্রমণের পর সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, ‘আমি ওনার নাম দিয়েছি প্রচারমন্ত্রী। ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবধি সব জায়গায় ওনার ছবি। শুধু নিজের প্রচার করতে ভালোবাসেন’।

এদিনের সভা থেকেও এসএসসি মামলার সুপ্রিম-রায় নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিকে ‘চাকরিখেকো বাঘ’ তকমা দিয়ে মমতা বলেন, ’২৬,০০০ ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল। মাইনে ফেরত দিতে বলল। আমি সেদিন থেকে বলেছি, চিন্তা করবেন না, আমি পাশে আছি । মঙ্গলবার দুর্গাপুরে মিছিল করলেও মনটা সুপ্রিম কোর্টে পড়েছিল। কী রায় হয় সেটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। রায় শোনার পর মনটা স্নিগ্ধ, তৃপ্ত হয়ে গেল। এরা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। এরা মানুষ না, দৈত্য’।

cm mamata banerjee

সন্দেশখালি ‘স্টিং অপারেশন’ নিয়েও কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কেমন টাকার খেলা হয়েছে দেখলেন তো? মা-বোনেদের সম্মান যদি চলে যায়, তাহলে কি টাকা দিয়ে সেটা ফেরত আছে? এর বদলা চাই। ভোটের মাধ্যমে সন্দেশখালির বদলা হবে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর