বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল (Trinamool)! ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে। গতবছর ডিসেম্বরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান প্রেম কুমার বর্মন নামের এক বছর ২৪ এর যুবক। এই মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং অভিযুক্ত বিএসএফ এর শাস্তির দাবিতে রবিবার নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও করতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের এই কর্মসূচী ঘিরেই এখন উত্তপ্ত গোটা কোচবিহার। ঘেরাও কর্মসূচির লক্ষ্যে জোরদার প্রস্তুতিও চলেছে কোচবিহারের ভেটাগুড়ি বাজারে। জানা গিয়েছে আন্দোলনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গতকাল রাতে সেখানে পৌঁছায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। জোর কদমে চলেছে তোড়জোড়। ভেটাগুড়ি বাজারে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চও। বিপুল সংখ্যক কর্মীদের বসার জন্য তৈরি করা হয়ছে ছাউনি। এমনটাই দৃশ্য ছিল গতকাল রাতের।
নিশীথের নিরাপত্তা….
সূত্রের খবর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির আগে নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে জোরজার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাঁশের তৈরী ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে মন্ত্রীর বাড়ির রাস্তার গলি সংলগ্ন এলাকা। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। জানা গিয়েছে, শাসকদলের যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে তার থেকে নিশীথের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার।
চলেছে পেট-পুজো…
শাসকদল তরফে দাবি, কম-বেশি প্রায় পঁচিশ হাজার সমর্থক নিয়ে তারা এই ঘেরাও কর্মসূচিতে নামতে চলেছে। সেই লক্ষ্যে গতকাল রাত থেকে বসে গেছে ভোজন আসরও। শনিবার রাতে দলের কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার লিস্টে ছিল গরম-গরম খিচুড়ি এবং সবজি।
এই কর্মসূচী প্রসঙ্গে, কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কর্মী সমর্থকদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সকাল হতে না হতেই তারা যেন দলে দলে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। সেই মোতায়েক আমরা ২৫ হাজার কর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি করব।”
তিনি আরও বলেন,”আগামীকাল পুরো কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব এই ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে। সকাল দশটা থেকে আমাদের এই ঘেরাও কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত।” অন্যদিকে, তৃণমূলের হুঙ্কারকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কোনওভাবেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করতে পারবে না তৃণমূল।