কার দখলে থাকবে পার্টি অফিস? এই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ! থমথমে রায়গঞ্জ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে বাংলার বুকে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress), এর উপর আবার দলের ভেতর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে সব মিলিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি আর এর মাঝেই গতকাল পার্টি অফিস এবং মন্দিরের দখলকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জের (Raiganj) দেবীনগর এলাকায় বাঁধলো বিতর্ক। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পরবর্তীতে পুলিশ এসে থামায় দুই পক্ষকে।

ঘটনাটি রায়গঞ্জের দেবীনগর এলাকা অন্তর্গত মিস্ত্রিপাড়ার। গতকাল এলাকার পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বিতর্ক। এরপরেই তা মারামারির পর্যায়ে পৌঁছায় এবং পরবর্তীতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে বলে খবর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতের দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের পাশে একটি মন্দিরে পুজো দিতে আসেন কয়েকজন মহিলা। পরবর্তীতে তাদের পুজো নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা এবং এরপরই তা হাতাহাতি ও মারধরের পর্যায়ে পৌঁছায়। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি এতটাই বীভৎস আকার ধারণ করে যে, কিছু সময়ের মধ্যে সেখানে এসে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

এক্ষেত্রে একটি গোষ্ঠী দাবি করে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পাশে মন্দিরটিতে বহুদিন আগে থেকেই মহিলারা পুজো করে আসছেন। তবে বর্তমানে বহিরাগতরা পার্টি অফিস দখল করার মাধ্যমে ইচ্ছা করেই পুজোতে বাধা দিয়ে যাচ্ছে আর সেই কারণেই গতকাল এই ঝামেলা। আবার অপর একটি পক্ষ মহিলাদের ওপরই সকল দোষ চাপিয়ে জানায়, “ওই মহিলারা ইচ্ছা করে ঝামেলা শুরু করেছে। আমরা পার্টি অফিসে বসেছিলাম। আচমকাই কিছু মহিলা এসে আমাদের উত্যক্ত করা শুরু করে। পরবর্তীতে ঝামেলা বাড়তে বাড়তে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়।”

এ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অসীম অধিকারী বলেন, “পার্টি অফিস এবং মন্দিরের দখল নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এটা কোনো গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা নয়। তবে এহেন বিতর্ক না ঘটাই শ্রেয়। বর্তমানে এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।”

Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর