ছিলেন পরিচারিকা, এক রাতেই হয়ে গেলেন কোটিপতি! তবুও নিজের কাজ করে যেতে চান টুটুল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও বেশ নড়বড়ে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টি পড়লেই জল পড়ে ঘরে। তীব্র শীতেও ঘরে ঢোকে কনকনে হাওয়া। এই সবকে মেনে নিয়েই পরিচারিকার কাজ করে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি। স্বামী, দুই সন্তান মিলিয়ে পরিবারের চার সদস্যদেরও দিন কাটছিল এভাবেই। কিন্তু, রীতিমতো একরাতেই কোটিপতি হয়ে গেলেন ওই মহিলা। শুধু তাই নয়, লটারিতে (Lottery) এক কোটি টাকা জিতেও নিজের কাজ ছাড়ার কথা ভাবছেন না আসানসোলের (Asansol) টুটুল হাঁড়ি।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আসানসোল উত্তর থানার ধাদকার প্রেমনগরের বাসিন্দা টুটুল সম্প্রতি ডিয়ার লটারির টিকিট কেটে এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতে নেন। আর এভাবেই অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালানো টুটুল রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান। এমনকি, ওই টাকার নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন ওই গৃহবধূ।

মূলত, হঠাৎ করে লটারি জিতে কোটিপতি হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিতান্ত সাদামাটা গৃহবধূ টুটুল। এমতাবস্থায়, গত শনিবার সকালে ছেলেকে নিয়ে থানায় হাজির হন তিনি। পাশাপাশি, পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা ও সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ডিয়ার লটারির টিকিট কেটে শুক্রবার এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতে নেন টুটুল। তবে, কোটিপতি হলেও এখনই নিজের কাজ ছাড়তে নারাজ তিনি। বরং, টুটুল সাফ জানিয়ে দেন “স্বামীর উপার্জনে সংসার চলে না। ছেলেও ভালো কাজ পাচ্ছে না। আমাকে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। এর মধ্যেই অনেক ধার-দেনা রয়েছে। সেগুলো আগে এই টাকা দিয়ে শোধ করব। মেয়ের ভালো জায়গায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তারপর নিজের কাজ ছাড়ার কথা ভাবব।”

whatsapp image 2023 01 08 at 2.18.47 pm

পাশাপাশি, এই টাকা দিয়ে এবার মাথা গোঁজার ঠাঁইটাকে মজবুত করতে চান টুটুল। এমতাবস্থায়, তিনি একটি পাকা বাড়ি তৈরি করতে চান। তিনি বলেন, “আমরা কাঁচা বাড়িতে থাকি। পাশাপাশি, ঘরের অবস্থা খুবই খারাপ। কেউ এলে বলে কিভাবে থাকছি আমরা! এমনকি, বৃষ্টি হলেও জল পড়ে। তবে, এবার লটারির টাকায় সেই বাড়ি পাকা করব।” এমতাবস্থায়, সব স্বপ্নপূরণ না হওয়া পর্যন্ত পরিচারিকার কাজ ছাড়তে চান না টুটুল হাঁড়ি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর