কয়েক কোটি লোনের বোঝা চাকরিহারা শিক্ষকদের মাথায়, কীভাবে হবে শোধ? ঘুম উড়ল ব্যাঙ্কের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্তের পর চাকরিপ্রার্থীদের পাশাপাশি মাথায় হাত পড়েছে ব্যাঙ্কগুলিরও। হাইকোর্টের ঘোষণায় এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা। এমন আবহে যাদের চাকরির উপর ভরসা করে ব্যাঙ্কগুলি লোন দিয়েছিল তাদের থেকে টাকা কীভাবে উদ্ধার হবে সেটাই ভেবে পাচ্ছেনা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষরা।

মিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেবলমাত্র জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেই প্রায় সাড়ে সাত কোটির লোন রয়েছে‌। এবং এই সাড়ে সাত কোটি লোন নিয়েছিলেন চাকরিহারা প্রার্থীদের একাংশ। এখন এই বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধার কীভাবে হবে তা ভেবেই মাথায় হাত ব্যাঙ্কগুলির। বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠক সেরেছে ধূপগুড়ি শাখার এই ব্যাঙ্কের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

একই হাল তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কেরও। শোনা যাচ্ছে, চাকরিহারা বহু শিক্ষকই তাদের গ্রাহক। হোম লোন, বাইক লোন, পার্সোনাল লোন মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। বেতনভুক্ত কর্মচারী ভেবে যাদের সহজেই লোন দিয়েছিলেন আজ তাদের কারণেই পড়েছেন ফাঁপরে।

আরও পড়ুন :হাইকোর্টের নির্দেশে কত শিক্ষক-শিক্ষিকার ঘাটতি হবে? চমকে দেবে পরিসংখ্যান, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও

এইদিন তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের CEO হিরোজ মাইতির গলায় শোনা গেল উদ্বেগের সুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাঙ্ক থেকে এমন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকারা লোন নিয়েছেন যারা ২০১৬ সালের পরীক্ষায় চাকরি পেয়েছিলেন। কোর্ট যা রায় দিয়েছে তাতে লোন উদ্ধার নিয়ে বড় সংশয় তৈরি হয়েছে।’ ইতিমধ্যেই ঋণগ্রহীতাদের নাম ও তাদের লোনের হিসেব নিকেষও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন :সেমিফাইনালে হারলেও রয়েছে সুযোগ, এই একটা অঙ্কেই ISL ফাইনালে খেলতে পারবে মোহনবাগান

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশকে বড় ঝটকা দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ‌। এক দফায় প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল করেছে এই বেঞ্চ। একই সাথে আগামি এক মাসের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সমস্ত বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রথমে এই টাকা জমা হবে জেলাশাসকের কাছে এবং পরে সেই টাকা পৌঁছে যাবে হাইকোর্টের কাছে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর