ঝাড়ু দিয়ে ঝাড়লেই কেল্লাফতে! বাবার ‘কৃপায়’ সারছে প্যারালাইসিস, নিমেষে চাঙ্গা হচ্ছে রোগী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঝাড়ু দিয়ে শুধু ঘরের ময়লা পরিষ্কার করা যেত এতদিন। কিন্তু এক বাবার ঝাড়ু দিয়ে রোগীকে ঝাড়লেই উধাও হয়ে যাচ্ছে সব রোগ! এমনকি হাঁটাচলা করতে পারছেন প্যারালাইসিস রোগীও। অনেক রোগীকে তার পরিবারের লোকেরা চ্যাংদোলা করে নিয়ে আসছেন বাবার মন্দিরে। তারপর মন্দিরের সামনে সেই বাবা তার ঝাড়ু দিয়ে করছেন চিকিৎসা। 

শুধু এলাকার মানুষই নয়, বাবার এই মন্দিরে ঝাড়খন্ড-বিহার সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই মন্দিরে এসে ভিড় করেন রোগী ও তার পরিবারেরা। প্যারালাইসিস থেকে শুরু করে জটিল রোগ, সবই নাকি সেরে যাচ্ছে বাবার এই ঝাড়ুর কৃপায়! পাশাপাশি রয়েছে বাবার দেওয়া বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে তৈরি বিশেষ ওষুধ।

মন্ত্র দিয়ে রোগীকে বিশেষ পদ্ধতিতে ঝেড়ে দেন বাবা। আর তাতেই নাকি সুস্থ হয়ে ওঠেন রোগী।ভক্তরা দাবি করেছেন চিকিৎসা করতে বাবা কোনও রকম টাকা-পয়সার চাহিদা করেন না। যে যেমন দেয় তাতেই নাকি সন্তুষ্ট হন বাবা। মন্দিরে আসা এক ভক্তের কথায়, “বাবার মন্দিরে বহুদিন ধরে আসছি। আমার স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন খুব। বাবার কৃপায় এখন ঠিক হয়ে গেছেন।”

বাবার এই কীর্তি ছড়িয়ে পড়ার পর রোজ ভিড় বাড়ছে মালদা (Malda) শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে বামনগোলা ব্লকের রাখাল পুকুর গ্রামের এই মন্দিরে। এখানেই বাস করেন নির্মল গোসাই। বাড়ির সাথে রয়েছে ভোলানাথ ও মা কালীর মন্দির। আট থেকে আশি সকলের উপস্থিতিতে এলাকায় যেন জনজোয়ার চলছে।

নির্মল গোসাই দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সাধনার ফলে তিনি এই ওষুধ তৈরি করতে পেরেছেন। তিনি প্রধানত তার তৈরি একটি পাউডার ওষুধ ও তেল দেন রোগীকে। তারপরই সুস্থ হয়ে যান রোগী। এই মন্দিরের অন্যান্য ভক্তদের দাবি, অতীতে তারা বহু নামিদামি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু ফল হয়নি। তবে নির্মল গোসাই এর কাছে এসে তারা উপকৃত। 

img 20230804 154422

তবে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ ব্যাখ্যা করেছে নির্মল গোসাইয়ের এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। বিষয়টি নিয়ে তারা সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সহ সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী বলেছেন, যারা এই ধরনের একটা অলৌকিক বাতাবরণ তৈরি করে রোগীকে চিকিৎসা কেন্দ্রে না পাঠিয়ে এই ধরনের জায়গায় পাঠাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর