বাংলাহান্ট ডেস্ক: অশ্লীল পোশাক পরে নিয়ম ভাঙার জন্য দুবাই পুলিসের হাতে আটক উরফি জাভেদ (Urfi Javed)। এ খবর পাওয়া গিয়েছিল এর আগেই। এমনকি এও শোনা গিয়েছিল যে উরফির দেশে ফেরাটাও আটকে যেতে পারে। এবার বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই।
আসন্ন প্রোজেক্টের জন্য দুবাই গিয়েছিলেন উরফি। বেশ কিছুদিন সেখানেই কাটিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু সে দেশে গিয়েই বড়সড় বিপদে ফাঁসেন উরফি। স্বল্প পোশাকে ফটোশুটের জন্য তিনি আইনি জটিলতায় ফাঁসেন বলে খবর। সূত্রের খবর, নিজের ডিজাইন করা একটি পোশাকে ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন উরফি। কিন্তু পোশাকটি সে দেশের বাসিন্দাদের পক্ষে অশ্লীল ছিল বলে অভিযোগ।
উপরন্তু দুবাই সরকারের আইন কানুনের বিপরীতে গিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় ওই অশ্লীল পোশাকে ফটোশুট করেন উরফি। দুবাই পুলিস তাঁকে আটক করে বলে শোনা গিয়েছিল। উরফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এমনকি তাঁর ভারতে ফেরার টিকিটও বাতিল করে দেওয়া হয় বলেও শোনা গিয়েছিল।
কিন্তু আদতে হয়েছিলটা কী? সম্প্রতি এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন উরফি। সেখানে তিনি জানান, যে জায়গাটায় শুটিং হচ্ছিল সেই লোকেশন নিয়েই কিছু সমস্যা ছিল। তাই পুলিস এসেছিল শুট থামাতে। আসলে পাবলিক লোকেশন হওয়ায় সেখানে একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত শুট করার অনুমতি ছিল। তারপরে তারা শুট বন্ধ করে দিতে হয়। এর সঙ্গে তাঁর পোশাকের কোনো সম্পর্ক নেই।
সম্প্রতি উরফি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। পুলিসের কাছে টুইটের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির একটি ছবিও জুড়ে দিয়েছিলেন উরফি। হুমকি মেসেজগুলির স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নবীন রঞ্জন গিরি। পেশায় তিনি একজন দালাল। উরফির টুইটের পরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে মুম্বই পুলিস। এরপর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নবীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা পুলিস কর্মী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এ, ৩৫৪ ডি, ৫০৬ (২), ৫০৯ এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
Made in India