‘সিনেমার ডায়লগ থেকে কখনও হিংসা ছড়ায় না’, বিচারপতির রায়ে স্বস্তিতে মিঠুন চক্রবর্তী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি’,- সিলভার স্ক্রিনে এই সমস্ত ডায়লগ দর্শকদের প্রশংসা কোড়ালেও, নির্বাচনের পূর্বে এসমস্ত ডায়লগই খাঁড়া হয়ে ঝুলছিল মিঠুন চক্রবর্তীর (mithun chakraborty) মাথার উপর।

তবে এবারে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির মন্তব্যে কিছুটা স্বস্তি পেলেন মহাগুরু। হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছেন, ‘জনপ্রিয় ছবির সংলাপ কখনও হিংসা ছড়িয়েছে এমন উদাহরণ কি আছে? শোলের আমজাদ খান থেকে শুরু করে, আজ পর্যন্ত হাজার হাজার সিনেমায় জনপ্রিয় ডায়ালগ ব্যবহার হয়েছে। তবে সেসব থেকে কি কখনও কোন হিংসাত্মক ঘটনা ছড়িয়েছে?’

A gathering without a mask to see the mithun chakraborty

এদিন শুনানির পর মিঠুন চক্রবর্তীর আইনজীবী বিকাশ সিংহ জানিয়েছেন, ‘আমার মক্কেলের বলা দুটি ডায়লগের জন্য, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একটি বলেছিলেন ২০১৬ সালে তৃণমূলের সভায় এবং দ্বিতীয়টি বলেছিলেন বিজেপি-র ব্রিগেডে সমাবেশে। তবে তারপর থেকে মুখে কিছু না বলে, শুধুমাত্র ইশারাতেই সব বুঝিয়েছেন। এই ঘটনায় বিচারপতি জানিয়েছেন, ডায়লগের জন্য মামলা করা হলে, ”শোলে”র পর তাহলে অনেককেই জেলে ঢোকাতে হত’।

প্রসঙ্গত, ব্রিগেডের সমাবেশের সময় বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে বাংলায় এসে নিজের জনপ্রিয় সিনেমার একাধিক সংলাপ বলেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শুধু ব্রিগেড নয়, আরও বেশকিছু জায়গায় ভোট প্রচারে বিভিন্ন রকম ডায়লগ বলেছিলেন মহাগুরু।

সেইসময় তাঁর মুখ থেকে বেরোনো ডায়লগের জন্য মানিকতলা থানায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, উস্কানিমূলক মন্তব্য, শান্তিভঙ্গের চেষ্টা, বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা এফআইআর করেন মৃত্যুঞ্জয় পাল। আর সেই মামলার জন্যই কলকাতার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রথমে মহাগুরুকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এই মামলায় একটা রায় দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। জানা গিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে মঙ্গলবার দুপুর দুটোয়।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর