স্টেশন মাস্টারের ঘরে বিষাক্ত কেউটে, ফণা তুলে জানান দিল তার উপস্থিতি! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: জীবজগতের মধ্যে সাপ এমনই একটি প্রাণী যাকে দেখলেই ভয় পেয়ে যান অধিকাংশ মানুষই। স্বাভাবিকভাবেই, তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন সবাই। যদিও, সর্পকূলের অধিকাংশ সাপই নির্বিষ হলেও এমন কিছু সাপ রয়েছে যাদের একটি কামড়েই সঠিক চিকিৎসা না পেলে নির্ঘাত মৃত্যু ঘটে মানুষের। আর সেই বিষধর সাপের তালিকায় কেউটে থাকে এক্কেবারে প্রথম সারিতেই।

তাই, সাপকে নিয়ে ভয় পাওয়ার বিষয়টি নিতান্তই যে অমূলক তা কিন্তু নয়। যদিও, সাপও মানুষের থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করে। কিন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন ঘটনা সামনে আসে যা দেখে রীতিমত চোখ কপালে উঠে যায় সবার। সম্প্রতি একটি বিশালাকার কেউটে সাপকে দেখা গেল একটি রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কেবিনেই। শুধু তাই নয়, রীতিমত রাজকীয়ভাবে একটি যন্ত্রাংশের ওপর বসে ফণাও উঁচিয়ে থাকে সে। এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে।

মূলত, সাম্প্রতিককালে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমরা বিভিন্ন দুর্লভ এবং অবিশ্বাস্য সব ভিডিও দেখতে পাই। যদিও, সেখানে বিভিন্ন সব কন্টেন্টের হাজার হাজার ভিডিও মজুত থাকলেও মূলত পশু-পাখি সংক্রান্ত ভিডিওগুলিই আকৃষ্ট করে নেটিজেনদের। যে কারণে সেগুলি দ্রুত ভাইরাল হয়ে পৌঁছে যায় সকলের কাছে।

এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও ঠিক একই জিনিস ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের ঘরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের ওপর উঠে বসেছে একটি কেউটে সাপ। শুধু তাই নয়, ফণা তুলেও কার্যত আক্রমণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাপটি। এদিকে, নাগরাজের এহেন উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছেন সকলেই।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার মনিগ্রাম রেল স্টেশনে। আর এই ভিডিওটিই বর্তমানে ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। শুধু তাই নয়, ভিডিওটি দেখতে পাল্লা দিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন নেটাগরিকরা। এছাড়াও, অনেকেই প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন এটি দেখে। রেল স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের ঘরের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হঠাৎ করে এই বিষধরের উপস্থিতি যে বড় বিপদের কারণ হতে পারে সেই প্রসঙ্গও উপস্থাপিত করেছেন নেটিজেনরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর