স্টেশনে জুতো পালিশের মাঝেই পথকুকুরকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া, নেটিজেনদের মন কাড়ল ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিদিনই কয়েক হাজার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। নাচ-গান-কমেডি-প্রযুক্তির মত একাধিক কন্টেন্টের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় মজুত থাকলেও বিভিন্ন পশুপাখি সংক্রান্ত ভিডিওগুলি খুব সহজেই আকৃষ্ট করে ফেলে নেটিজেনদের। আর তার মধ্যে যদি সারমেয়র সাথে খুনসুটির কোনো দৃশ্য থাকে তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেই ভিডিও নেটদুনিয়ায় “সুপারহিট” হয়ে যায়।

পোষ্য হিসেবে মানুষ কুকুরকে বেছে নিয়েছে বহুদিন আগে থেকেই। পাশাপাশি, কুকুরও অত্যন্ত প্রভুভক্ত হওয়ায় কার্যত নিজের জীবনের বিনিময়েও পাশে থাকে সকলের। এমতাবস্থায়, বর্তমানে ঠিক এইরকমই একটি নজরকাড়া ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। আর যা দেখে সেটিকে মুহূর্তের মধ্যে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।

তবে, ভিডিওটিতে কোনো বাড়ির পোষ্য নয়, বরং একটি পথকুকুরের সাথেই এক ব্যক্তির চিরন্তন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অকৃত্রিম এবং স্বার্থহীন এই বন্ধুত্ব যেন আকৃষ্ট করেছে নেটিজেনদের। রেলস্টেশনের মাঝেই নিজের কাজের ফাঁকে এক সারমেয়র সাথে খুনসুটিতে মেতে উঠেছেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি, যত্ন করে ঘুমও পাড়িয়ে দেন তাকে। আর এই ভিডিও দেখেই ওই ব্যক্তিকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে।

প্রাথমিকভাবে বোঝা গিয়েছে যে, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি আমাদেরই রাজ্যেরই কোনো এক প্রান্তে রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে যে, জুতো পালিশের কাজ করার অবসরেই একটি কুকুরের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠেছেন এক ব্যক্তি। এমনকি, ওই ব্যক্তির সাথে মনের সুখে খেলতে থাকে কুকুরটিও। হ্যান্ডশেক থেকে শুরু করে মজা করে কামড় দেওয়া সবকিছুই স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে ভিডিওটিতে।

শুধু তাই নয়, একটা সময়ে মাথায় হাত বুলিয়ে সন্তানস্নেহে পরম আদরে ওই সারমেয়কে ঘুম পাড়িয়ে দেন ব্যক্তিটি। এভাবেই ভিডিওটিতে ব্যস্ত স্টেশনের মাঝে এক অকৃত্রিম ভালোবাসার সখ্যতাকে সুনিপুণ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর যা দেখে আবেগাপ্লুত হয়েছেন নেটিজেনরাও।

ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি আদি কলকাতা নামক একটি ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “ভালবাসতে গেলে মন চাই, অর্থ নয়।” পাশাপাশি, সেখানে এই ভিডিওটির আসল সূত্রের কথাও উল্লেখ করে জানানো হয়েছে যে, রিনি সাহা নামের এক মহিলার ফেসবুক থেকে ভিডিওটি নেওয়া হয়েছে।

মন ভালো করে দেওয়া এই ভিডিওটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাইক এবং কমেন্টের সংখ্যাও। পাশাপাশি ভিডিওটি দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। বর্তমান দুনিয়াতেও যে নিঃস্বার্থ ভাবে এক পথকুকুরকে কার্যত সন্তানস্নেহে ভালোবাসা যায় তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি!

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর