চালক ছাড়াই ভিড় রাস্তায় অবলীলায় চলছে রিকশা! ভাইরাল ভিডিও দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটবাসীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রিকশায় চড়েননি এমন মানুষ কার্যত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। নিত্যদিনের যাতায়াতের একটি অন্যতম মাধ্যম হল রিকশা। তবে রিকশা চালাতে অবশ্যই একজন চালকের প্রয়োজন হয়। যিনি যাত্রীদের তাঁদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেন। তবে, চালক ছাড়াও রিকশা কিন্তু চলতে পারে! হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা এবার সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, কোনো চালক ছাড়াই অবলীলায় চলছে একটি রিকশা। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে নেটিজেনদের।

এমতাবস্থায়, অনেকেই ওই রিকশাকে “ভুতুড়ে রিকশা” হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। যদিও, ওই ঘটনার আসল কারণ জানলে অবাক হবেন সকলেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই নেটমাধ্যমে সময় কাটাতে ভালোবাসি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেটের পাশাপাশি সেখানে মনোরঞ্জনের জন্য মজুত থাকে হাজার হাজার নিত্যনতুন ভাইরাল ভিডিও। আর সেগুলিকেই দেখতে পছন্দ করেন নেটাগরিকরা। এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে?
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি রিকশা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই হঠাৎ নিজে নিজেই চলতে শুরু করে। এমনকি, একটা সময় সেটি পৌঁছে যায় ভিড়ে ঠাসা রাস্তার মাঝেই। এদিকে, এই অদ্ভুত কান্ডকারখানা দেখে সেখানে উপস্থিত কিছু মানুষ কার্যত চিৎকার করতে থাকেন। যদিও, কিছু সময় পরেই আবারও সেটি ফিরে আসে নিজের জায়গায়।

মূলত রিকশাটি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে বৃষ্টি এবং তীব্র ঝোড়ো বাতাসের কারণে তাতে কোনো চালক না থাকায় সেটি বাতাসের ধাক্কাতেই চলতে শুরু করে এবং পৌঁছে যায় রাস্তার মাঝখানে। আবার বাতাসের ফলেই সেটি ফিরে আসে নিজের জায়গায়। শেষে, একজন ব্যক্তি রিকশাটিকে ধরে নেন। আর এই পুরো দৃশ্যটিই ফুটে উঠেছে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে।

এদিকে, ইতিমধ্যেই ভিডিওটি @Lsoccerworld নামের একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে দেওয়া হয়েছে একটি মজাদার ক্যাপশনও। যাতে বলা হয়েছে, “অটো ভয়েস কমান্ড এবং অটো পার্কিং সহ টেসলা রিকশা!” পাশাপাশি, এই ভিডিওটি কার্যত ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। জানা গিয়েছে যে, শিলিগুড়ির কোনো একটি অংশে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, এই বিরল ভিডিও দেখে নেটিজেনরাও নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একজন লিখেছেন, “রিকশাটি এমন ছিল যা দেখে ইলন মাস্ক গর্বিত হবেন।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর