Viral Video: দীর্ঘ ৭৫ বছর পরে কর্ণাটকের ক্লক টাওয়ার থেকে সরল ধর্মীয় প্রতীক, উড়ল তেরঙ্গা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কর্ণাটকের কোলার জেলায় অবস্থিত, ক্লক টাওয়ারটি গত ৭৫ বছর ধরে ইসলামিক রঙে রাঙা ছিল। তবে এখন এটিতে পরিবর্তন এসেছে। গত ১৯ মার্চ অর্থাৎ শনিবার, প্রথমবারের মত কোলারের ক্লক টাওয়ারটিতে তিরঙ্গার রং দেখা যায়। পাশাপাশি, সেখানে গর্বের সঙ্গে দেশের পতাকাও উত্তোলন করা হয়।

রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, প্রায় ৭ দশক পর সাদা রং দিয়ে ক্লক টাওয়ার রং করার পর তার ওপর তিরঙ্গার ছবি তৈরি করা হয়েছে। এই কাজের সময় সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেয় পুলিশ। পাশাপাশি, পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সে জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও (RAF) মোতায়েন করা হয়।

এদিকে, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোলার জেলার এসপি ডি দেবরাজু। যদিও, এই ক্লক টাওয়ারে দীর্ঘ ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওড়ানো ইসলামিক পতাকা জেলা প্রশাসন সরিয়ে নেওয়ার পর শহরে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এখনও ঘটেনি।

এছাড়াও, কোলার জেলার পুলিশ ক্লক টাওয়ারে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচিতে স্থানীয় মুসলমান এবং অন্যান্য বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে। এদিকে, জেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে, নেটিজেনরা ক্লক টাওয়ারের নতুন রূপ দেখে কর্মকর্তাদের প্রশংসা করছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোলারের বিজেপির লোকসভা সাংসদ মুনিস্বামী এস, সেখানকার জনগণকে ক্লক টাওয়ারে ওড়ানো ইসলামিক পতাকা সরিয়ে সেখানে ভারতীয় পতাকা উত্তোলনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ক্লক টাওয়ারের এই বিতর্কের মধ্যেই জেলা প্রশাসন, শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। যার পরে শুক্রবার শহরে অবস্থান করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। এছাড়াও, তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলন যে, ক্লক টাওয়ারে তিরঙ্গা উত্তোলন না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন।

এই প্রসঙ্গে গত শনিবার, মুনিস্বামী টুইটারে লিখেছিলেন যে, ৭৪ বছর অপেক্ষা করার পরে, ক্লক টাওয়ারে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের পতাকা সরিয়ে ভারতীয় তিরঙ্গা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই ক্লক টাওয়ারটি ১৯৩০ সালে মুস্তফা সাহেব নামে একজন ব্যবসায়ী দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। যা বর্তমানে কোলারের একটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে রয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর