নেই একটি হাত, তবুও ভিক্ষা না করে মানুষের পেট ভরাচ্ছেন ইনি! ভাইরাল ভিডিওতে মজল নেটিজেনরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মনের জোরের ওপর ভর করেই মানুষ সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে পেরিয়ে গিয়ে তৈরি করতে পারে আলাদা নজির। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই সেই সুপ্ত শক্তি বিরাজমান রয়েছে। কিন্তু, কেউ কেউ সেটিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের বানিয়ে ফেলেন অনুপ্রেরণা আবার কেউ কেউ তা সঠিকভাবে বুঝতেই পারেন না। তবে, সম্প্রতি এমন একটা ঘটনা সামনে এসেছে যা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে জেদ এবং নিজের ওপর ভরসা রেখেই পেরিয়ে ফেলা যায় সমস্ত বাধা-বিপত্তি।

একটি হাত নেই তাঁর! যার ফলে আরেকটি হাত দিয়েই তাঁকে করতে হয় বাকি কাজ। তবে, নিজের এই প্রতিবন্ধকতাকে অজুহাত না বানিয়ে বরং সেটাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জীবনযুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন মিতেশ। যেখানে এই অবস্থায় আর পাঁচজন বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তির মত পথ সেখানে দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই করে গর্বের সাথে রোজগারের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি এই দৃশ্যই সামনে এসেছে নেটমাধ্যমে। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে সেখানে। আর যা দেখে মিতেশের এই লড়াইকে স্যালুট জানিয়েছেন সকলেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মজাদার সব ভাইরাল ভিডিওর ভিড় খুঁজে পেলেও মাঝেমধ্যেই আমরা সেখানে এমন কিছু ভিডিও দেখতে পাই, যা দেখে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যাই আমরা।

শুধু তাই নয়, সেইসব ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিতও হই আমরা সবাই। বর্তমানে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, মুম্বাইয়ের পূর্ব মালাডের নির্মলা কলেজের কাছে পাওভাজির দোকান চালান মিতেশ। একটা হাত না থাকলেও তিনি দক্ষতার সাথে সমস্ত কিছু সামলাচ্ছেন বাকি হাত দিয়েই। সবজি কাটা থেকে শুরু করে রান্না করা এবং সেটি গ্রাহকদের পরিবেশনও করছেন তিনি নিজেই।

ভিডিওটিতে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবার কাছ থেকেই তিনি পাওভাজি বানাতে শিখেছেন। তাঁর বাবা পেয়ারীলালের নামেই রয়েছে তাঁর দোকান। আর সেখানেই প্রতিদিন পাওভাজি বানিয়ে পথচলতি মানুষের খিদে মেটাচ্ছেন মিতেশ। অবশ্য তাঁর একটি স্বপ্নও রয়েছে। তিনি চান, তাঁর নিজের একটি রেস্তোরাঁ খুলতে। আর সেখানেই তিনি আরও বিভিন্ন ধরণের খাদ্যদ্রব্য বানাতে চান।

https://www.facebook.com/watch?v=364087652397548

এদিকে, এই ভিডিওটি বর্তমানে ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে। “Street Food Recipes” নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ইতিমধ্যেই ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। পাশাপাশি, ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার জন লাইক করেছেন এটি। এছাড়াও, ভিডিওটি দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সকলেই মিতেশের এই লড়াকু মানসিকতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর