দুটো দিন অপেক্ষা করুন, তৃণমূলের মহামুখোশ খুলবে : সায়ন্তন বসু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। (Sayantan Basu)। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়া রাহুল গান্ধী একটি টুইট করেন, সেখানে তিনি বলেন, চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি পূর্বপরিকল্পিত ছিল।

রাহুল গান্ধীর টুইটের কটাক্ষ করলেন সায়ন্তন বসু

সায়ন্তন বসু বলেন, তাহলে কি ভারত সরকার ঘুমাচ্ছিল। চীন যে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকার দখল করেছে, তা বিজেপি সরকারের আমলে নয় ওনার পরিবারের লোকেরা যখন পূর্বপুরুষেরা সদস্য ছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী সরকারের সদস্য ছিলেন তখনই চিনে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তিনি আবারও বাঙ্গাতক সুরে  বলেন ওনার কি ঘুমিয়ে ছিলেন না নিদ্রামগ্ন ছিলেন। তিনি আরও বলেন ,বাস্তবে যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে তা হল চীন ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ। সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা করে এবং ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে চীন।

সায়ন্তন বসু বলেন অরুনাচল প্রদেশে কোন প্রধানমন্ত্রী ঢুকতে পারত না

এর আগে অরুণাচল প্রদেশ অর্থাৎ সাউথ ট্রিপল বলে যেখানে ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রীর যেতে পারতেন না গেলেও ওনারা বলতেন এখানে এসেছেন কেন? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে অরুণাচলে প্রদেশের রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে। সেখানকার বর্ডার এলাকাতেও রাস্তা তৈরি হয়েছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার আরো ভালো হয়েছে এবং রাস্তাঘাট সুন্দর হচ্ছে। এমনকি ওখানে এয়ারপোর্ট হচ্ছে। কিন্তু এটা ঠিক পছন্দ করছে না চীন। এর ফলে চীনের সামরিক অর্থনীতিকে যথেষ্ট প্রভাব পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে অনেক ক্ষতি হচ্ছে সাউথ চায়না সি তে। কারণ সেখানে চীনের দাদাগিরি কিছুটা মুশকিল হচ্ছে কারণ সেখানে ভারতের প্রবেশের যথেষ্ট বাধা আছে।

করোনার কারণে চীন সবার নজরে   

করোনার কারণে চীন সাবার নজরে। তাই চীন এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে । আমরা উচিত জবাব দিয়েছি। আমাদের সেনাবাহিনীরা উচিত জবাব দিয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছি চীনকে।

images 1 7

প্রধানমন্ত্রীর পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন, কিন্তু কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষের অবসান ঘটছে না

সায়ন্তন বসু বলেন, যত কটাক্ষ করবে করুক। তাতে পশ্চিমবাংলা মানুষ কংগ্রেসের দিক থেকে সরে আসবেন এর আগেই ওরা বলেছে যে ‘চৌকিদার চোর হোতা হ্যয়’। তার রেজাল্ট কংগ্রেস পেয়েছে এবং ভারতীয় জনতা পার্টির আসন সংখ্যা পার্লামেন্টের 30k বেড়েছে। সবারই খারাপ লাগছে কংগ্রেসের এই সময়  কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে। তিনি আরও বলেন, পন্ডিত জহরলাল নেহেরু সময় চীনের সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল ভারতের। জনসংখ্যা কিন্তু তখন সরকারের পাশে ছিল। ৭১এর যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধীকে অটল বিহারি বাজপেয়ি ‘মা’ আখ্যায় ভূষিত করেছিলেন। কিন্তু কারগিল যুদ্ধের সময় আমরা ঠিক উল্টোটাই দেখেছিলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নামাজ শরীফ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলছে ,অটল বিহারী বাজপাই আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য।

প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকছেন

আজ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী যোগদান করছেন। এর আগে তিনি একাধিক বৈঠক বয়কট করেছেন কিন্তু আজ তিনি এই বৈঠকে যোগদান করছেন। সায়ন্তন বসু মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকা নিয়ে বলেন, যাচ্ছেন যাক, ভালো করুক ওনার যদি কিছু বলার থাকে বলুক, দেশবিরোধী কাজ না করাই ভালো তা মানুষ ভালোভাবে নেবে না চীনের পক্ষ নিয়ে নিয়ে যদি কিছু বলেন সেটা মানুষ ভালোভাবে নেবে না। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ওনার একা সাংসদ বালাকোট নিয়ে বলেছিলেন যে, পুরো ব্যপারটাই স্টেজ মেকাপ। বালাকোটে যেমন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার যেমন ওরকম একটা ব্যবহার করেছেন এটা সেরকমই একটা অঙ্গ সেটা মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য কিনা জানা নেই, তৃণমূলের বক্তব্য কিনা তাও জানা নেই। দুটো দিন অপেক্ষা করুন ওনার মুখোশ খুলে যাবে আবার তখনই আমরা আমাদের আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব।

সম্পর্কিত খবর