DA আন্দোলনের মাঝে কল্পতরু পশ্চিমবঙ্গ সরকার! সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি কর্মচারীদের (Employee) জন্য সুখবর। ফের একবার সরকারি কর্মচারীর বেতন বাড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) । চলতি বছরের এপ্রিলেই প্রায় ৩ শতাংশ Dearness allowance বাড়ানো হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের। আর এবার খবর, ঐ একই হারে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি হতে চলেছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের।

নতুন খবর অনুযায়ী, ৩ শতাংশ হারে বাড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের চাকরিজীবীদের পারিশ্রমিক। যদিও যারা পেনশন পাচ্ছেন তাদের জন্য কোন বেতন বৃদ্ধির খবর আসেনি। আপাতত কেবল বর্তমান কর্মচারীদেরই মাসিক বেতন ৩ শতাংশ হারে বাড়ানো হবে। এই সুবিধা পাবেন রাজ্যের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী, পুরসভা ও পঞ্চায়েতসহ বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থাও।

এইসব পদের পাশাপাশি এই বেতন বৃদ্ধির আওতায় থাকবেন রাজ্য সরকারের যে প্রচুর চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রয়েছে তারাও। জানিয়ে রাখি, চলতি বছরের বাজেটে রাজ্য সরকারের কর্মীদের জন্য বরাদ্দ টাকায় ২৫০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেই টাকার থেকেই বেতন এবং বাৎসরিক DA-র টাকা দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার সময় যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল তাতে বেতন বৃদ্ধির কথা বলা থাকলেও ডিএ নিয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি ছিলনা। তাই এক্ষেত্রেও বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের দায় থাকলেও মহার্ঘ ভাতার ক্ষেত্রে সেটা নেই। যদিও ২০০৯ সালে পঞ্চম বেতন কমিশনের ‘রোপা’ বিজ্ঞপ্তিতে মহার্ঘ্য ভাতার কথা বলা হয়েছে।

সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ডিএ কেন্দ্রের জন্য বাধ্যতামূলক হলেও রাজ্যের জন্য নয়।’ ইতিমধ্যেই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বকেয়া ডিএ নিয়েই চলছে মামলা। আগামী ১৪ জুলাই রয়েছে এর পরবর্তী তারিখ।

mamata da wb

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা যেখানে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন সেখানে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের হাতে আসছে ৬ শতাংশ। আর এটাও ২০২৩ সালের মার্চের পর। তার আগে কর্মচারীরা ডিএ পেতেন মাত্র ৩ শতাংশ হারে। বিষয়টা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, আপাতত সেটার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর