প্রকৃতির রুদ্ররূপ দেখছে এই দুই রাজ্য, পরিস্থিতি সামলাতে হাজির বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরেই অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে আরব সাগরের তীরের দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র ও গুজরাত। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে আগামী দিনে এই দুই রাজ্যে আরো ভয়ংকর বিপর্যয় এগিয়ে আসতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। হাজির বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

rain 1 3

ইতিমধ্যেই গুজরাত উপকূলে এনডিআরএফ-এর সাতটি টিম বহাল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওয়ালসাদ, নভসারি, পোরবন্দর, সুরাট, দ্বারকা, রাজকোট, গির সোমনাথ, জুনাগড়, আমরেলি এবং কচ্ছ—-এই সব এলাকায় রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই মুম্বাই শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বাড়ির দেয়াল পড়েছে। মুম্বই শহরতলির উপকূলীয় অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী থানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে ইতিমধ্যে জলমগ্ন বিরাট এলাকা। পাশাপাশি ভরা কোটালের কারনে বিপর্যয় আরো বাড়তে পারে। জানা যাচ্ছে ৪.৬৭ মিটারের ও বেশী উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে তটভূমিতে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিম উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে পশ্চিমবঙ্গ উপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের চাপ তৈরি হয়েছে। 7.6 কিমি ব্যাসার্ধের এই ঘুর্ণিঝড় মধ্য ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য দায়ী হবে।শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়েছে। যার জন্য বিহারে ২৯ জন এবং উত্তরপ্রদেশে ২১ জন মারা গিয়েছেন।

ওড়িশায় ঘূর্ণাবর্ত এবং দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এবার ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের দিকে আসতে চলেছে বর্ষা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পাশয়াপাশি দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির আভাস।

সম্পর্কিত খবর