বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের মত এবারও ডিসেম্বর মাসেই আয়োজিত হতে চলেছে প্রাথমিকের টেট (Primary TET Exam)। হাতে মাত্র কিছুদিন। আগামী মাসের ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা। এ বছর আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা।
কড়া নিরাপত্তা
পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের মত এবছরও প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় সব ধরনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরীক্ষা হতে চলেছে ১০ই ডিসেম্বর। তার আগেই বর্তমানে প্রস্তুতি তুঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট সাফল্য! অযোগ্যদের চাকরির পেছনে কার হাত? জানিয়ে দিল CBI
২০২২ সালের মত এ বছরও সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করার লক্ষ্যে বেশ কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে। পরীক্ষা হলে যাতে কোনও নকল পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। নতুন নিয়মগুলির মধ্যে রয়েছে হ্যান্ড মেড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার ও পরীক্ষার্থীদের ফ্রিস্কিং।
ফিঙ্গার প্রিন্ট ও CCTV
পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের “ফিঙ্গার প্রিন্ট” ব্যবহার করার বিষয়টি নিয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত পর্ষদ তরফে নেওয়া হয়নি। গত বছরের মত এবারও থাকছে সিসিটিভি। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ঢোকা ও বেরোনোর জায়গায় সিসিটিভি বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সুপ্রিম নির্দেশ
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় প্রাথমিক (Primary) স্কুলে শিক্ষকতা করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের D.El.Ed বা D.Ed ডিগ্রি থাকতেই হবে। অর্থাৎ কারও যদি বিএড ডিগ্রি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকে আবেদন করতে পারবে না।
বাদ বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা
যদি কোনও চাকরিপ্রার্থীর B.Ed এবং D.El.Ed বা D.Ed উভয় প্রশিক্ষণই নিয়ে থাকেন তবে প্রাথমিকে অবশ্যই চাকরি করতে পারবেন। সেই নির্দেশ মেনেই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এবার থেকে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিল পর্ষদ। ২০২২ এর তুলনায় এবছর আবেদনকারীদের সংখ্যা বিরাট কমে গিয়েছে।
এক ধাক্কায় পড়েছে সংখ্যা
গত বছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী। এই বছর এই সংখ্যাটা অর্ধেকের থেকেও কম। এ বছর পরীক্ষায় বসতে চলেছে প্রায় ৩ লক্ষ ১০ হাজার পরীক্ষার্থী।