ব্যাপক ধস তৃণমূলে! মালদায় একযোগে দল ছাড়লেন একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য সহ বহু কর্মী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে তৃণমূলে (TMC) ভাঙ্গন অব্যাহত। এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মালদার (Malda) মানিকচক কেন্দ্রের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের অনুগামীরা ছাড়লেন শাসকদল, হাতের হাত ধরে নাম লেখালেন কংগ্রেসে (Congress)। সূত্রের খবর, মালদা তৃণমূলের প্রাক্তন সহ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, তার স্ত্রী জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আশারুজ্জামান, বিকাশ মণ্ডল সহ মোট ৪০০ জন এদিন ঘাসফুল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন।

এখানেই শেষ নয়! এদিন তৃণমূল যুবর মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী ,তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সীমা বিবি, চৌকি মির্জাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মোস্তাক আলম সহ মানিকচক ব্লকে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে গত নির্বাচনে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা শাসকদল ছাড়েন।

তাদের সকলেরই দাবি, তৃণমূলে হতে থাকা লাগাতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতেই তারা দল ছেড়েছেন। যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, টিকিটের জন্যই অন্য দলে যোগ। অনেকে ক্ষমতায় থেকে মানুষের কাজ করেননি। তারা টিকিট পাবেন না একথা জেনেই থেকেই দল ত্যাগ করছেন। তবে বিপুল পরিমান সদস্যের একজোটে এই দলত্যাগে দলের কোনও ক্ষতি হবেনা বলেও জানান তিনি।

tmc congress 2

অন্যদিকে, ঘটনা সামনে আসতেই এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করেনি কংগ্রেস শিবির। এই বিষয়ে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোত্তাকিন আলম বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলটা ভালো মানুষের নয়। তাই যারা ভালো মানুষ তারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করছেন।

শুধু তাই নয়, এরপর তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যান্সার হয়েছে। তাই সবাই দল ছেড়ে পালাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের একের পর এক জায়গা থেকে উঠে আসছে একই ঘটনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল থেকে নেতা-কর্মীরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন বিরোধী শিবিরে। এবার এই দল বদলের প্রভাব ভোটবাক্সে কতটা পড়ে সেটাই দেখার।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর