ম্যাচের পর ওড়িশার ফুটবলাররা মারতে গিয়েছিলেন মোহনবাগান অধিনায়ককে! উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রবিবারের মহা লড়াইতে সকলের নজর কেড়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant)। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে ওড়িশাকে (Odisha FC) হারিয়ে মোহনবাগান ফাইনালে পোঁছে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, ওই ম্যাচে গোল করে মোহনবাগানকে জিতিয়েছেন জেসন কামিংস এবং সাহাল আব্দুল সামাদ। যদিও, ওই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পর মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু ওড়িশার বিরুদ্ধে তুলেছেন অভিযোগ। তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর দিকে জল ছোঁড়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, ওড়িশার ফুটবলারেরা ধাক্কাও মেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য যে, ওই ম্যাচের পর মিক্সড জোনে কথা বলতে এসে শুভাশিস বলেন, “গতকাল ম্যাচের পর ওদের ডাগআউটের কাছে গিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলাতে যেতেই ওরা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে আমার সঙ্গে। আমার দিকে জল ছোঁড়া হয় এমনকি, ধাক্কাও মারা হয়। আমার মনে হয় ওই ম্যাচ হেরে ওরা নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।” যদিও, এখনও পর্যন্ত শুভাশিসের এহেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওড়িশার তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

What complaint did the Mohun Bagan captain make against Odisha FC footballers.

তবে গতকালকের ম্যাচে নিজে খুব একটা ভালো খেলতে না পারলেও দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন শুভাশিস। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “এটা আমাদের দারুণ একটা প্রত্যাবর্তন। আমরা কঠিন সময়েই নিজেদের সেরাটা বের করে আনি। সব সতীর্থদের আমার ধন্যবাদ। ওড়িশাতেই বলেছিলাম যে, দল ঠিক ঘুরে দাঁড়াবে। অধিনায়ক হিসেবে এই দলকে নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত।”

আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপের জন্য এটাই হবে ভারতীয় দল? স্যামসন-সূর্য সহ রয়েছেন এই ১৫ জন খেলোয়াড়

এদিকে, গোলদাতা জেসন কামিংস এই ম্যাচ জিতে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তিনি জানিয়েছেন, “ফাইনালের ট্রফিও আমরা জিততে পারি। গোটা মরশুমটাই আমাদের জন্য ভালো গিয়েছে। ত্রিমুকুট জয়ের ব্যাপারে আমরা চরম আত্মবিশ্বাসী। এখন আমরা আপাতত অনুশীলনে ফিরে গিয়ে ফাইনালের জন্য নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।” পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, “এখন আমাদের দলের মধ্যে জেতার একটা মানসিকতা চলে এসেছে। তাই প্রতিটা ম্যাচেই জিততে ইচ্ছে হয়। আর সেটা আমাদের মধ্যে রয়েছে।”

আরও পড়ুন: কাঙাল পাকিস্তান ফের বাড়াল ভিক্ষার হাত! প্রধানমন্ত্রী শরীফ IMF-এর কাছে জানালেন নতুন দাবি

পাশাপাশি, ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলতে পারার বিষয়টিতে খুশি হয়েছেন শুভাশিসও। তিনি জানান, “ত্রিমুকুট জয়ের বিষয়টি আমাদের অনুপ্রেরণা নয়। তবে, গোটা বছর ধরে আমরা যে পরিশ্রম করেছি সেটার ফল পাচ্ছি এটা ভেবেই খুব ভলো লাগছে। আর ফাইনাল জিতে সেটা এখন আমরা সম্পূর্ণ করতে চাই।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর