প্রচন্ড শীতেও ট্রেনে কেন দিতে হয় AC-র ভাড়া? কারণ জানলে অবাক হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতে গণপরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হল রেলপথ (Indian Railways)। নিত্যদিনের যাতায়াত হোক কিংবা দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেলপথের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি, ট্রেনে চেপে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খরচও অনেকটাই কম হয়। ওই কারণেই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। এমতাবস্থায় গ্রীষ্মের মরশুমে দূরের সফরের ক্ষেত্রে অনেকেই এসি কোচে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। যার জন্য অগ্রিম বুকিং করতে হয়।

শুধু তাই নয়, এসি কোচের ভাড়াও সাধারণ কোচের চেয়ে বেশি থাকে। এদিকে, শীতের মরশুমেও ওই ভাড়ার পরিমান একই থাকে। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, শীতের সময়ে যখন ঠান্ডার কারণে কোচের এসি ব্যবহার করা হয় না, তা সত্বেও যাত্রীদের কেন অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়? বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গটি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করা হল।

এসি কোচের ভাড়া কমানো হয় না কেন: মূলত, শীতকালে রেল সফরের সময়ে যাত্রীরা এসির প্রয়োজন বোধ করেন না। কিন্তু ওই কোচগুলিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য সারা বছরই এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে এয়ার কন্ডিশনার গ্রীষ্মকালে কোচের তাপমাত্রাকে ঠান্ডা রাখে, সেখানে এসি শীতকালে কোচের তাপমাত্রাকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। আর ওই কারণেই যাত্রীরা এসি কোচে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পাশাপাশি, সফরকালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাতেও পড়তে হয় না তাঁদের।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এসি কোচে বড় বড় কাঁচের জানালা থাকে। যার কারণে বাইরে থেকে বিশুদ্ধ বাতাস কোচের ভিতরে প্রবেশ করে না। এমন পরিস্থিতিতে কোচের ভেতরে বেশি যাত্রী থাকার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার জেরে যাত্রীদের দমবন্ধকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সমস্যা এড়াতে এসি বাতাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

lhb iac passage1

এদিকে, শীতের মরশুমে কোচের গড় তাপমাত্রা প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে এসি কোচের তাপমাত্রা হয় ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা হয়। আর এই কারণেই শীত ও গ্রীষ্ম উভয় সময়েই এসি কোচের ভাড়া কমায় না রেল। শুধু তাই নয়, শীতকালে এসি কোচে একটি হিটারও চালানো হয়। যা যাত্রীদের উষ্ণতা বজায় রাখতে সাহায্য কাজ করে। এই হিটারটি সাধারণ হিটার থেকে একেবারেই আলাদা। যেটির কারণে ত্বক শুকিয়ে যায় না এবং যাত্রীরা এর উষ্ণতা উপভোগ করতে গিয়ে কোনো অস্বস্তিরও সম্মুখীন হন না।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর