কেন বাজারে দেখা যাচ্ছে না ২,০০০-এর নোট? RTI-তে সামনে এল অবাক করা তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ঘোষণা করেন নোটবন্দির। যার ফলে পুরোনো ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যদিও, নতুনভাবে চালু করা হয় একাধিক নোটের। যার মধ্যে ছিল ২,০০০ টাকার নোটও। এদিকে, একটা সময়ে সর্বত্রই এই নোটের প্রাচুর্য দেখা গেলেও বর্তমানে বাজার থেকে কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে ২,০০০ টাকার ওই নোট। এমতাবস্থায়, ২,০০০ টাকার নোটের অপ্রতুলতার কারণটি এবার সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, জেনে অবাক হবেন যে, গত তিন বছর যাবৎ ২,০০০ টাকার একটি নোটও ছাপা হয়নি। ইতিমধ্যেই সংবাদ সংস্থা IANS-এর তরফে দায়ের করা তথ্যের অধিকার (RTI) আইনের অধীনে চাওয়া জবাবের ভিত্তিতে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে।

এই তথ্য সামনে এসেছে: RTI অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২,০০০ টাকার কোনো নতুন নোট ছাপা হয়নি। RBI নোট মুদ্রণ (পি) লিমিটেড ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ২,০০০ টাকার মোট ৩,৫৪২৯.৯১ কোটি নোট মুদ্রণ করে। এরপরে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ১১১৫.০৭ কোটি নোট মুদ্রিত হয়েছিল। পাশাপাশি ২০১৮-১৯ সালে এই পরিমান আরও কমে মাত্র ৪৬৬.৯০ কোটি নোটে নেমে আসে।

ক্রমশ বেড়েছে জাল নোটের সংখ্যা: এই প্রসঙ্গে NCRB-র তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, দেশে বাজেয়াপ্ত করা ২,০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ২,২৭২ থেকে বেড়ে ২,৪৪,৮৩৪ হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালে, দেশে ২,০০০ টাকার জাল নোটের মোট সংখ্যা ছিল ২,২৭২। ২০১৭ সালে এটি বেড়ে ৭৪,৮৯৮ হয়ে যায়। এরপরে, ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ৫৪,৭৭৬-এ নেমে আসে। যদিও, ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯০,৫৬৬। পাশাপাশি ২০২০ সালে একলাফে এই সংখ্যা পৌঁছে যায় ২,৪৪,৮৩৪ টি নোটে।

৯০ শতাংশেরও বেশি জাল নোট ছিল নিম্নমানের: ২০১৫ সালে RBI একটি নতুন নম্বর প্যাটার্ন সহ মহাত্মা গান্ধী সিরিজ ২০০৫-এর ভিত্তিতে ব্যাঙ্কনোট জারি করেছিল। এর মাধ্যমে ভিজিবল সিকিউরিটি ফিচারের সাহায্যে সাধারণ মানুষ সহজেই আসল থেকে জাল নোট আলাদা করতে পারেন। এমতাবস্থায়, ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে পাওয়া ৯০ শতাংশেরও বেশি জাল নোট (২,০০০ টাকার নোট) নিম্নমানের ছিল। এদিকে, আসল নোটে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে RBI-এর ওয়েবসাইটেও দিয়ে দেওয়া হয়।

2000 rupee note money

এদিকে, RTI-তে জানানো হয়েছে যে, জাল নোট প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে RBI ব্যাঙ্কগুলিকে বিভিন্ন নির্দেশ জারি করে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নিয়মিতভাবে জাল নোট শনাক্তকরণের বিষয়ে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সেই সমস্ত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সাথে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও পরিচালনা করে থাকে যাঁরা প্রচুর পরিমানে নগদ অর্থ সংক্রান্ত কাজ করেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর