বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে প্রায় ১০০০ কোম্পানি চীন থেকে ভারতে (India) চলে আসার চেষ্টায় রয়েছে। শুধুমাত্র ভারত নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। যার মধ্যে ভিয়েতনামে (Vietnam) প্রচুর পরিমাণে কোম্পানি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমেরিকা এবং চীনের মধ্যেকার ট্রেড ওয়ারের ফায়দা তোলার পর, এই সংকটের সময়ে ভিয়েতনাম তাঁর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভিয়েতনামের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সময়কালে দ্রুততার সাথে বিকাশ ঘটিয়েছে। এই দেশে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ২৫ শতাংশ বিকাশ ঘটে। যেটা ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশের আশেপাশে ছিল। এই সময়ের মধ্যে দ্রুততার সাথে নিজেদের ব্যবসার দিক থেকে উন্নত করার মূল লক্ষ্য ছিল, চীন থেকে ভিয়েতনামে কোম্পানি চলে আসা। এই কারণে ২০১৯ সালের শুরুতে ভিয়েতনাম থেকে আমেরিকায় রপ্তানিতে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি সাফল্য এসেছিল। কিন্তু ভারত থেকে মাত্র ১২ শতাংশ বেশি রপ্তানি দেখা গিয়েছিল আমেরিকায়।
উহানের করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে প্রচুর কোম্পানি এখন চীন থেকে ভারত অপেক্ষা ভিয়েতনামে গিয়ে তাঁদের ব্যবসা শুরু করছে। এর কারণ হল, ভারত অপেক্ষা ভিয়েতনামে উৎপাদন কাঠামো অনেক বেশি উন্নত মানের এবং সেখান থেকে দ্রব্য রপ্তানিতেও সুবিধা হয়। বিগত কিছু বর্ষেও ভারতে উৎপাদন কাঠামো উন্নত হলেও, তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশের থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছে।
এছাড়াও বিগত কয়েক বছরে ভিয়েতনামে শ্রমিকদের কমতি না থাকার জন্য, প্রচুর কোম্পানি ভারত অপেক্ষা ভিয়েতনামকেই বেশি লাভজনক বলে মনে করছে। এমনকি ভিয়েতনামের শ্রমিকদের চাহিদাও বেড়েছে। অপরদিকে ভারত সরকারও বিভিন্ন কোম্পানি দেশে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কর্পোরেট টেক্স কমিয়ে দিয়েছিল ভারত সরকার। কর্পোরেট টেক্স কমিয়ে দিয়ে ১৭ শতাংশ করে দেয়। যার ফলে আমেরিকা, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিরা ভারতে আসার পরিকল্পনা করছে।
বর্তমানে ভারত এবং ভিয়েতনামের মধ্যে এক চাপা সংঘর্ষ চলছে, যে কার দেশে কত বেশি কোম্পানি আসতে পারবে। ভবিষ্যতে চীনের বিষয়ের পর এই দুই দেশের মধ্যে একটা টক্কর ঘটতে পারবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।