‘কালীঘাটের কাকুর’ থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন শান্তনু! প্রতারণার টেকনিক শুনে মাথায় হাত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে উত্তাল রাজ্য। তদন্ত যত এগোচ্ছে সামনে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর এবার নিয়োগকাণ্ডে তদন্তকারী সংস্থার (ED) চার্জশিটে নতুন তথ্য। নিয়োগ কেলেঙ্কারি কাণ্ডেই সামনে এসেছিল সুজয় ভদ্র (Sujoy Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম। প্রতারণা চক্রে যেই কাকু এখন ইডির আতস কাঁচের তলায় সেই সুজয় ভদ্রর সাথেও নাকি প্রতারণা করেছিলেন ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee)। চার্জশিট দিয়ে ঠিক এমনটাই দাবি ইডির।

গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, চন্দননগরে শান্তনুর দীপ ডেভেলপার্সের তৈরি প্রকল্পে প্রায় ১২০০ বর্গফুট জায়গা কিনতে সম্মত হয়েছিলেন এই কালীঘাটের কাকু। সেই মতো শান্তনুকে ৪০ লক্ষ টাকা অগ্রিমও দেন তিনি। অভিযোগ সেই টাকা ফেরানো তো দূর উল্টে শান্তনু নিজের এক সংস্থা থেকে অন্য সংস্থায় সে টাকা চালান করেন।

ইডির দাবি, হুগলীর যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রকল্পের নাম করে কালীঘাটের কাকুর থেকে অগ্রিম ৪০ লক্ষ টাকা নেন। তার বদলে ওই জায়গা নেন সুজয় ভদ্র। এরপর শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থা ইভান কনট্রাড প্রাইভেট লিমিটেডের নামে ডিপোজিট মানি ছাড়াই লোন নেন। যেই লোন হয় দীপ ডেভেলপার্সের থেকে।

ed

সূত্রের খবর, ওই ৪০ লক্ষের সাথে অতিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা যুক্ত করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নেয় শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থা ইভান কনট্রাড। পড়ে সেই প্রজেক্টও হয়নি, আর লোনের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি কালীঘাটের কাকুকে। এভাবেই প্রতারণার ছক কোষে সুজয়বাবুর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর