বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের (corona virus) জন্য দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ২১ (21) দিনের লকডাউন (lockdown)। সেই ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ১৪(14) এপ্রিল। কিন্তু কী হবে তারপর? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে ভারতবাসীর মধ্যে। লকডাউন কী আরও বাড়বে? নাকি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে?
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Central cabinet) সদস্যদের সঙ্গে করোনা নিয়ে ভিডিয়ো কন্ফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের মানুষের স্বার্থে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তা নেওয়া হলে ঠিক সময়েই তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
বৈঠক শেষে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে (Prakash Javadekar)। তিনি জানান, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। এদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক মুহূর্তে গোটা বিশ্বের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। দেশের স্বার্থেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেওয়া হবে। সঠিক সমবে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।’
সোমবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন যাতে লকডাউন বাড়ানো হয় ৩ জুন পর্যন্ত। বিসিজি-র একটি রিপোর্টে বলা হয়, ৩ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ালে তা ভারতের জন্য ভালো হবে। আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এমন আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখনও পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩২১ জন। এর মধ্যে অন্তত ২৪৩ জন হয় নিজামুদ্দিন মার্কাজে গিয়েছিলেন অথবা, সেখানকার কোনও লোকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এদিন বিজেপি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘লড়াইটা অনেক লম্বা। আর সেই লড়াইতে আমাদের ক্লান্ত হলে বা থেমে গেলে চলবে না। আমাদের জয়ী হতেই হবে। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য। যুদ্ধে জিততেই হবে।’ এদিকে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০০ পেরিয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা শতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সবরকম চেষ্টা চললেও, সংখ্যাটা এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন উঠে যাবে কিনা, সেই বিষয়ে কোনও তরফেই কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে মোদীর এই লম্বা যুদ্ধের কথায় জল্পনা বেড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, লকডাউন লম্বা করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সরকারিভাবে সেরকম কিছু জানা যায়নি। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি দেখেই ১৪ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।