বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিজের ‘কাজ গোছাতেই’ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এবার এহেন অভিযোগ আনতে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে অবশ্য দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও সরব হব তিনি।
মাস খানেক আগে দলবিরোধী কাজ কর্মের অভিযোগ ওঠে একাধিক বিজেপি নেতার নামে। শুরু হয় তুমুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই অভিযোগেই জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় দল থেকে। গেরুয়া শিবিরে ভাঙনের সেই শুরু। এরপরই রীতিমতো দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়ে উঠতে থাকেন জয়প্রকাশ। জল্পনা প্রবল হতে থাকে যে তাঁর তৃণমূলে যোগদান কেবল সময়ের অপেক্ষা। এদিন সত্যি হয় সেই জল্পনাই। নজরুল মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করেন জয়প্রকাশ। সেই খবর পাওয়া মাত্রই অবশ্য তাঁর সদস্যপদ খারিজ করেছে বিজেপি।
গতকালই জয়প্রকাশ সহ একাধিক বিদ্রোহী নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠকে দেখা যায় লকেটকে। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগেও দল ছেড়ে বহু নেতা চলে গিয়েছেন। অনেকদিন ধরেই দলের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে কেউ দল ছেড়ে না যান তা আমাদের দেখা উচিত। আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। তবে কথা বলার পরও যদি কেউ চলে যান তা অবশ্য তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’ গোপন বৈঠকের পর জল্পনা ছড়ায় যে বিদ্রোহী দলে নাম লিখিয়েছেন লকেট। এমনকি তাঁর তৃণমূলে যোগদানের কথাও বলতে থাকেন কেউ কেউ। এই প্রসঙ্গেও সাফাই দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘আমি মনে করি না যে এভাবে দলের মধ্যে ডিভাইড অ্যাণ্ড রুল করা উচিত। বিক্ষুব্ধ -নন বিক্ষুব্ধ এসব করা কখনওই উচিত নয়। আমরা সবাই অনুগত সৈনিক। বিজেপির লোকজন। সবাই এক।’
একই সঙ্গে তিনি রাজ্য বিজেপির নীতিকেই দলত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর কথায় ‘কারও মনোবল ভেঙে যাওয়ায় সে যদি চলে যেতে চায় তাহলে তার সঙ্গে কথা বলাই উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা দরকার।’ লকেটের এই মন্তব্যকে স্বভাবতই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই দেখতে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত,দল ছাড়ার ব্যাপার জয়প্রকাশকে এক হাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘জয়প্রকাশ মজুমদারকে দল যোগ্য মর্যাদা দিয়েছে। পদাধিকারী বানিয়েছে। প্রার্থী করেছে বিধানসভায়। তার পরেও যদি তিনি মনে করেন, ঠিক নেই, তা হলে তাঁর সিদ্ধান্ত। এর আগেও অনেক নেতা গিয়েছেন। পরেও যেতে পারেন। কোনও নেতা চলে গেলে দলের ক্ষতি হয় না। দলের কর্মীরা হল ভিত। তাঁরাই আবার দলকে দাঁড় করাবেন।’