বাংলা হান্ট ডেস্ক: শুরুটা ছিল বেশ ভালো। শুধু মার্চ-এপ্রিলেই ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ভ্রমণপিপাসুর পা পড়েছিল টিউলিপ গার্ডেনে। রাজ্যে বাড়তি আধাসেনা মোতায়েনের পর থেকেই বুকিং বাতিল হতে থাকে অশান্তির আশঙ্কায়। পর্যটক নেই ভূস্বর্গ তে। কোনো পর্যটক নেই শ্রীনগরের কোনো হোটেলে । গুলমারগ হোক বা পহেলগাম, পুরোটাই ফাঁকা । নেই কাশ্মীরের বাজারে খরিদ্দার দের দরদাম। বেশিরভাগ দোকানদার রাই নিরাশ হয়ে নামিয়ে দিয়েছে ঝাঁপ । ডাল লেকে র প্রায় ৯০০ হাউসবোট, তালাবন্দি সবকটি।এমনই দৃশ্য উপত্যকার। দুর্গাপুজোর সময় যেখানে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয় উপত্যকাবসিদের, সেখানে এবার কাশ্মীর জনশূন্য। ৩০ বছরের মধ্যে দুর্গাপুজোয় এতটা পর্যটক দের মন্দা কাশ্মীর। এ বার ভূস্বর্গ পুরোপুরি বাঙালিহীন। বিগত দুই মাস ধরে এই অবস্থা উপত্যকার এরই মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের ৩১০টি ব্লক উন্নয়ন পরিষদে ২৪ তারিখ ভোট করানোর জন্য আজ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন এর মতে, বিধিনিষেধ যেটুকু রয়েছে তা জাতীয় স্বার্থে জরুরি।
প্রশাসন পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানালেও অভিভাবকরাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না অশান্তির ভোয়ে। যদি কোনো সমস্যায় পড়ে যায় শিশুটি!পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু ভুয়ো খবর। অনেক সময় সত্যি মিথ্যা যাচাই না করে সংবাদ ও সমাজ মাধ্যমে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রচারও চালাচ্ছে, ফলে আরও আশঙ্কিত হচ্ছে মানুষ। বলা হচ্ছে, নেতা, আম-কাশ্মীরি মিলিয়ে আটক অন্তত কয়েক হাজার। তার মধ্যে ৯ বছরের শিশুও রয়েছে।কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত চার সদস্যের কমিটি র বক্তব্য, আটকদের মধ্যে কোনও শিশু নেই। পাথর ছোড়ায় কয়েক জন নাবালককে ধরা হয়েছে মাত্র আর কোনরকম সমস্যাই হয়নি। বিজেপি নেতা রাম মাধবের দাবি, ‘‘কাশ্মীরে আটক মাত্র ২০০-২৫০ জন। তাঁরাও বিলাসবহুল বন্দোবস্তে রয়েছেন।’’ কিন্তু এসবের সত্বেও এই বছর পিক সিজন এও পর্যটক শুন্য হয়েই থেকে গেল কাশ্মীর উপত্যকা।