বাংলাহান্ট ডেস্ক: শহরে কমছে খোলা জায়গা, খেলার মাঠ। আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়াবেটিসের মতো ভয়ানক রোগ। সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরাজ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্রমশ। তালিকার উপর দিকে রয়েছে কলকাতা,হাওড়া ও বর্ধমানের নাম। অপরদিকে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা সব থেকে কম দুই দিনাজপুর ও পুরুলিয়া জেলায়।
কিন্তু এই তিনটি জেলায় হঠাৎ ডায়াবেটিসের এত বাড়বাড়ন্তের কারণ কী? বিশিষ্ট বেরিয়াট্রিক সার্জন ডক্টর সরফরাজ বেগ-এর মতে, এর কারণ খোলা জায়গার কমতি। অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় এই তিন জেলায় খেলার মাঠের সংখ্যা অনেক কম। মানুষ শারীরিক পরিশ্রমও করেন অনেক কম। তুলনায় মশলাদার খাবার, মিষ্টি বেশি খান। ফলে শরীরে চর্বি বেশি জমছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ পেটে চর্বি জমা। এর থেকে বাড়ছে ভুড়ি। আর তার থেকে শরীরে থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন স্কুল স্তর থেকেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। না হলে আগামী প্রজন্ম পড়বে বিপদে। নিয়মিত খেলাধুলা ও শারীরিক পরিশ্রম জরুরী। স্কুলে বাড়াতে হবে খেলার মাঠ। পড়াশোনার সাথে সাথে বাধ্যতামূলক করতে হবে খেলাধুলোও।
হাসপাতালে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ দেবাশিষ বসুর মতে, এটা এমন একটা রোগ যা মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সারা শরীরে আক্রমণ করে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রাজা ভট্টাচার্য বলেন, “অসুখের চিকিৎসা পরের কথা, আগে দরকার মানুষের দরকার সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ডায়াবেটিস আর পারিবারিক অসুখের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বংশে এই রোগের ইতিহাস না থাকলেও ভুগছেন অনেকেই। বয়সের মধ্যেও আর সীমাবদ্ধ নেই এই রোগ। অনেক কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে।”
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য অনুসারে গোটা দেশের জনসংখ্যা ৮.৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সবথেকে বেশি চিন্তার বিষয় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই হার ৯.৪ শতাংশ।