গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে বেশ কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রায় ৩০ জনের একটি দল ভারতে প্রবেশ করেছে। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত ছিলো তাদের ভারতে প্রবেশ করার জায়গা। হিন্দু নাম গ্রহণ করেছিল ধৃতরা কাওন যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে। ভারত থেকে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলো ওই দুই মহিলা। কারন তাদের মধ্যে একজনের স্বামি বাইরে থাকে।
আর স্বামী কর্মসূত্রে থাকায় ওই দেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল তারা। কিন্তু মাত্র দুজন ধরা পড়লেও বড় প্রশ্ন হচ্ছে দলের বাকি ২৮ জন কোথায়। আর তারা কিভাবে প্রবেশ করেছিলো, দালাল মারফৎ ভারতীয় পাসপোর্ট যোগাড় করে অনুপ্রবেশকারীরা। কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে সীমান্তের ফাঁকফোকর দিয়ে এদেশে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা। আর সেই নিয়ে ভারত নিরাপত্তার মুখে।য়ার দালালদের মাধ্যমে ভারতীয় পাসপোর্ট-সহ অন্যান্য নথিও যোগাড় করে ফেলছে অনুপ্রবেশকারীরা। কলকাতা থেকে ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজের গতকাল রাত ১২.৫৫ মিনিট নাগাদ একটি বিমানের দুই যাত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হয় । এরপরেই তাদের আটক করার সিদ্ধান্ত নেয় অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকদের। পাসপোর্ট পরীক্ষা করে জানা যায় তদের এক জনের নাম রিনা সাহা ও ওপরজনের নাম তানিয়া বিশাস। এরপরে জানা যায় আসল সত্যি। আর তানিয়ার আসল নাম তসলিমা। আর রিনার নাম রোকসানা আক্তার।
দু’জনেই মায়ানমারের তাংশুড়ির বাসিন্দা। এখন এই নিয়ে শুরু হয়েছে আসল জল্পনা। ধৃতদের এনএসসিবিআই থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বাকিদের খঁওজ মেলেনি। আর সেই ২৮ জন তারা কোথায়, কিভাবে এলো। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে খোজ তল্লাশি। কিন্তু ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আর তার পাশাপাশি দেশের মানুশদের নিরাপত্তা বাড়াতে দেওয়া হয়েছে পুলিশ। আর আগের থেকেও এখন বেশি সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসন থেকে দেশের সকল নাগরিকদের।